ভারতের সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় শক্তিশালী বিমান আশ্রয়কেন্দ্র (এইচএএস) তৈরি করেছে চীন। তিব্বতের লুনজে বিমানঘাঁটিতে এটি তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে গভীর দুশ্চিন্তায় পড়েছে ভারত।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, চীন তিব্বতের লুনজে বিমানঘাঁটিতে ৩৬টি নতুন ‘হার্ডেনড এয়ারক্রাফ্ট শেল্টার’ নির্মাণ করেছে। ভারতের অরুণাচল সীমান্ত থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার উত্তরে মাখমোহন লাইনের কাছাকাছি এটি নির্মাণ করা হয়েছে। এর ফলে ভারতের জন্য নতুন এক কৌশলগত উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। কেননা এসব অবকাঠামো চীনা যুদ্ধবিমান ও ড্রোন মোতায়েনের সক্ষমতা বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে। ঘাঁটিটি ভারতের তাওয়াং শহর থেকে প্রায় ১০৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
ভারতের সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল বি এস ধনোয়া (অব.) এনডিটিভিকে বলেন, এই আশ্রয়কেন্দ্রগুলো নির্মাণের অর্থ হচ্ছে, ভবিষ্যতের কোনো সংঘাতে চীনা ট্যাকটিকাল ফাইটার ও অ্যাটাক হেলিকপ্টারগুলো এখানেই অবস্থান করবে। আমি ২০১৭ সালের ডোকলাম ঘটনার সময় বলেছিলাম, যেদিন তারা তিব্বতে এ ধরনের শেল্টার তৈরি শুরু করবে, বুঝতে হবে তারা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বিমানবাহিনীর সাবেক উপ-প্রধান এয়ার মার্শাল অনিল খোসলা বলেছেন, লুনজের উন্নয়ন ভারতের জন্য গুরুতর কৌশলগত হুমকি। এই শেল্টারগুলো চীনের সম্পদকে ছড়িয়ে রাখতে, আক্রমণ ঠেকাতে এবং দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চতল এলাকায় অভিযান চালাতে সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, এই শেল্টারগুলো নির্ভুল-নিয়ন্ত্রিত অস্ত্র, বিমান হামলা বা ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ থেকেও সুরক্ষা দেবে, যা সংঘর্ষের শুরুতেই চীনের ঘাঁটিগুলোকে নিষ্ক্রিয় করা কঠিন করে তুলবে।
স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, লুনজে ঘাঁটির রানওয়েতে চীনের সশস্ত্র সিএইচ-৪ ড্রোন রয়েছে। এসব ড্রোন ১৬ হাজার ফুটেরও বেশি উচ্চতায় উড়ে ক্ষুদ্র পাল্লার আকাশ থেকে ভূমি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম।
এয়ার মার্শাল এস পি ধারকর (অব.) বলেন, চীনের এই স্থায়ী ঘাঁটি ও শক্ত অবকাঠামো নির্মাণ আমাদের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ। একসময় ভৌগোলিক উচ্চতার কারণে আমাদের সুবিধা ছিল, কিন্তু তাদের দ্রুত আধুনিকীকরণ সেই ব্যবধান কমিয়ে আনছে।
ভারতীয় বিমানবাহিনী জানিয়েছে, আমরা পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং আমাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রস্তুত রয়েছে।

3 hours ago
4









English (US) ·