চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে বিনোদপুর ইউনিয়নের চৌকা সীমান্ত ঘেঁষে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ কেন্দ্র করে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ সময়ে এক কৃষককে দেখা গেছে দা কিংবা কাস্তে হাতে প্রস্তুত থাকতে। সেই ছবি ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সবাই তার প্রশংসা করছেন।
তানজিল হাসান লিখেছেন, ‘ছবির দাও হাতে লোকটি কি কৃষক? জানি না। তবে ইতোমধ্যে নেটিজেনরা তাকে কৃষক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এই লোকের পরিচয় জানতে খুব ইচ্ছে করে। কিন্তু পরিচয় না জানাই শ্রেয়। কারণ ওনার একটাই পরিচয় হোক, উনি বাংলাদেশি। বাংলাদেশের কোনো ভারী অস্ত্র নাই, যুদ্ধজাহাজ, পারমাণবিক অস্ত্র নাই কিন্তু বাংলার আছে সংশপ্তক মানসিকতার জনগণ। এই জনতার নানা চারিত্রিক ত্রুটি আছে, হীনম্মন্যতা, হিংসা, জিঘাংসা, মূর্খতা, সীমাবদ্ধতা আছে, আবেগ আছে। আর বুকভরা ভালোবাসা আছে।’
এ. মহিম লিখেছেন, ‘বাঙালির মতো সাহসী জাতি পৃথিবীতে খুব কমই আছে, শুধু সঠিক নেতৃত্ব দিতে পারলেই বিজয়।’
- আরও পড়ুন
- কথাশিল্পী ইফতেখার মাহমুদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান
- দৈনিক আমার দেশের নব অভিযানে পাঠকের প্রত্যাশা
ইমরান কায়েস লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের কোথাও একটা জেনেটিক্যাল গড়বড় আছে! এই ছবিটা দেখলেই বুঝবেন কেন এই দেশে ৭১ হয়, ২৪ হয়! পৃথিবীর দূরতম ইতিহাস ঘাটলেও আপনি কোথাও এই রকম অদ্ভুত জনগোষ্ঠীর খোঁজ পাবেন না। যারা নিজের দেশ রক্ষায়, অস্ত্রের মুখে খালি হাতে, হাসিমুখে দলে দলে এসে দাঁড়ায়া থাকে! ভয় নাই, ডর নাই, লোভ নাই, লালসা নাই বুকজুড়ে শুধু বিস্ময়কর একটা সাহসের নদী। একটা অদ্ভুত জেদ! মাথা না নোয়ানোর একটা ভয়ংকর সংকল্প! এদের কে দাবায়া রাখবে?’
আশেক এলাহি লিখেছেন, ‘আহো ভাতিজা আহো! খেলা হবে। খেজুর গাছ কাটার ছেনা হাতে পজিশন নেওয়া লোকটাই প্রকৃত দেশপ্রেমী। চেতনার ব্যবসায়ীরা এসব বুঝবে না। দেশপ্রেমের নামে তারা লুটতরাজ আর নির্দিষ্ট একটা পরিবারের গুণগান করতে শিখেছে।’
রাসেল ইব্রাহীম লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার চেষ্টা। এই ছবিই অনেক কিছু বলে। এই ছবি আমাদের নিখাদ দেশপ্রেম বা ন্যাচারাল শক্তিমত্তার বহিঃপ্রকাশ। দেশের ক্ষেত্রে আমার একটাই কথা–চলার পথে থাকতে পারে মতভেদ, দেশের স্বার্থে আমরা এক।’
এসইউ/এএসএম