সুইডেনের মধ্যাঞ্চলীয় শহর ওরেব্রোর একটি স্কুলে গুলিবর্ষণের ঘটনায় পাঁচজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবারের (৪ ফেব্রুয়ারি) এই ঘটনার পর পুলিশ ব্যাপক অভিযান শুরু করেছে এবং এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকতে বলেছে।
ঘটনাস্থলে বিপুলসংখ্যক পুলিশ, অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি দেখা গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, আহতদের অবস্থা এখনো নিশ্চিত নয়। অভিযান চলমান রয়েছে।
এদিন বন্দুকহামলার পর প্রথমে চারজন আহত হওয়ার খবর জানানো হলেও পরে সংশোধন করে পাঁচজন বলে নিশ্চিত করা হয়। তবে অভিযানের সময় কোনো পুলিশ কর্মকর্তা আহত হননি।
আরও পড়ুন>>
- সুইডেনে কোরআন পোড়ানো সেই ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা
- কোরআন পোড়ানো ব্যক্তি গুলিতে নিহত, যা বললেন সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী
- গানের প্রতিযোগিতায় ইসরায়েলি গায়িকা, বিক্ষোভে উত্তাল সুইডেন
পুলিশ এ ঘটনাকে হত্যাচেষ্টা, অগ্নিসংযোগ এবং গুরুতর অস্ত্র অপরাধ হিসেবে তদন্ত করছে। জনগণকে সতর্ক করে জানানো হয়েছে, ঝুঁকি এখনো শেষ হয়নি, সবাইকে ঘটনাস্থল থেকে দূরে থাকতে হবে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেসেন দাবি করেছে, সন্দেহভাজন হামলাকারী নিজেকে গুলি করেছেন। যদিও পুলিশ এখনো এটি নিশ্চিত করেনি। এছাড়া এক্সপ্রেসেন ও আফতোনব্লাদেট জানিয়েছে, পুলিশও ঘটনাস্থলে গুলির মুখে পড়েছে।
নিরাপত্তার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট স্কুলসহ আশপাশের স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের ভেতরে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সুইডেনের বিচারমন্ত্রী গুনার স্ট্রমার এ ঘটনাকে খুবই গুরুতর বলে উল্লেখ করে বলেছেন, সরকার পুলিশের সঙ্গে নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে স্বয়ংক্রিয় বন্দুকের শব্দ শোনা গেছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালের জরুরি বিভাগ খালি করা হয়েছে।
সুইডেনে স্কুলে হামলার ঘটনা বিরল হলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটিতে কয়েকটি বড় হামলা ঘটেছে। ২০২২ সালের মার্চে মালমোতে ১৮ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থীর ছুরিকাঘাতে দুই শিক্ষক নিহত হন। একই বছর জানুয়ারিতে ক্রিস্টিয়ানস্টাড শহরের এক স্কুলে ১৬ বছর বয়সী শিক্ষার্থী এক ছাত্র ও এক শিক্ষককে ছুরিকাঘাত করেন।
এছাড়া, ২০১৫ সালের অক্টোবরে ট্রোলহ্যাটান শহরের একটি স্কুলে বর্ণবাদী উদ্দেশ্যে চালানো হামলায় তিনজন নিহত হন। পরে পুলিশ তরবারিধারী ওই হামলাকারীকে গুলি করে হত্যা করে।
সূত্র: এএফপি
কেএএ/