সুইডেনের এসআই স্কলারশিপ যেভাবে পেলেন উৎসব

5 months ago 65

উৎসব কুমার ঘোষের পৈতৃক নিবাস ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হলেও বেড়ে ওঠা ঢাকায়। তিনি মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল থেকে এসএসসি এবং সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিষয়ে স্নাতক পাস করেন। সম্প্রতি তিনি সুইডেন সরকারের সুইডিশ ইনস্টিটিউট স্কলারশিপ ফর গ্লোবাল প্রফেশনালস বা ‘এসআই স্কলারশিপ’ পেয়েছেন। সুইডেনের ব্লেকিঞ্জ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে পড়বেন কম্পিউটার সায়েন্স বিষয়ে।

তার স্কলারশিপ পাওয়ার গল্প এবং নতুনদের স্কলারশিপ পেতে করণীয় সম্পর্কে কথা বলেছেন জাগো নিউজের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আনিসুল ইসলাম নাঈম—

জাগো নিউজ: আপনার শৈশব ও পড়াশোনা সম্পর্কে বলুন—
উৎসব কুমার ঘোষ: ছোট থেকেই এক্সটোভার্ট ছিলাম। খুব মিশুক স্বভাবের এবং অনেক বন্ধুবাৎসল্য ছিলাম। খুব তাড়াতাড়ি বন্ধু-বান্ধব জুটিয়ে ফেলতে পারতাম। শৈশব থেকে সংস্কৃতিমনা ছিলাম এবং নিজস্ব ব্যান্ড ছিল। আমার বেড়ে ওঠা মধ্যবিত্ত পরিবারে। বাবা চাকরিজীবী এবং মা গৃহিণী ছিলেন। পরিবার থেকে সব সময় সাপোর্ট পেয়েছি। তারা আমাদের যে কোনো চাহিদা ও শখ পূরণ করেছেন। বাবার সরকারি চাকরির সুবাদে একদম ছোটবেলায় আখাউড়ায় থাকা হয়। আমাদের দুই ভাই-বোনের পড়াশোনা সেখানে শুরু হয়। তখন এবিসি কিন্ডারগার্টেনে ভর্তি হই। ছোট থেকেই কম্পিউটারের প্রতি একটা আগ্রহ কাজ করতো। তখন থেকে শখ ছিল কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। ভালো স্কুলে ভর্তির স্বপ্ন নিয়ে মা আমাদের ঢাকায় নিয়ে আসেন। কদমতলা পূর্ব বাসাবো উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ক্লাস ফাইভে বৃত্তি পাই। এরপর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলে ইংরেজি ভার্সনে ভর্তি হই। এসএসসি পর্যন্ত এ স্কুলেই ছিলাম। এরপর সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে ভর্তি হই। সেখানে স্কলারশিপ পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করি। আমার ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ার ইচ্ছে ছিল। এ জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বুয়েট, রুয়েট, কুয়েট, চুয়েট, সাস্টে ভর্তি পরীক্ষা দিই। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাবজেক্ট আসে। তবে রুয়েটে কম্পিউটার সায়েন্স আসায় অন্য কোথায়ও ভর্তি হইনি। কম্পিউটার সায়েন্সে রিসার্চ ফিল্ডে খুব অ্যাক্টিভ ছিলাম। এরপর ৩.২২ সিজিপিএ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস করি।

জাগো নিউজ: আপনি কী ধরনের সহশিক্ষা কার্যক্রমে পারদর্শী ছিলেন?
উৎসব কুমার ঘোষ: রুয়েটে প্রথম বর্ষ থেকেই আমি কন্টেস্ট প্রোগ্রামিং করতাম। ‘রুয়েট অ্যান্যালিটিক্যাল প্রোগ্রামিং ল্যাব’ নামে একটি ক্লাব ছিল। ফার্স্ট ইয়ার থেকে ক্লাবে খুব অ্যাক্টিভ ছিলাম। থার্ড ইয়ারে এসে রিসার্চের সাথে জড়িত হই। রিসার্চের ক্ষেত্রে প্রফেসর ড. আল মেহেদী হাসান, আবু সাঈদ ও এস এম শোভন স্যার সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছিলেন। পাশাপাশি ‘মাই মেডিকেল হাব’ নামে আমেরিকান একটি কোম্পানিতে ‘এআই রিসার্চ অ্যাসিস্টেন্ট’ হিসেবে জয়েন করি। সেখানে প্রায় দুই বছর ছিলাম। এই সময়ে জার্নালে আমার দুইটা রিসার্চ পাবলিশ হয়। আমি সংস্কৃতিচর্চা করতাম। রুয়েটের কালচারাল ক্লাবে ‘ভাইস প্রেসিডেন্ট (অ্যাডমিন)’ হিসেবে জড়িত ছিলাম। ২০১৯ সালের দিকে তিন বন্ধু মিলে ‘কোড স্টুডিও’ নামে একটি স্টার্টআপ কো-ফাউন্ডার হিসেবে শুরু করি। এখন পর্যন্ত এখানে প্রায় ছয় বছর কাজ করছি। যার অঙ্গপ্রতিষ্ঠান কোড স্টুডিও একাডেমিতে মেশিন লার্নিং মেন্টরশিপ করিয়ে থাকি।

জাগো নিউজ: গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ‘এসআই বৃত্তি’তে পড়ার ভাবনা মাথায় এলো কীভাবে?
উৎসব কুমার ঘোষ: আমি যেহেতু রিসার্চের মধ্যে ছিলাম, তাই উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়ার প্লান করি তখন থেকেই। আড়াই বছর ঢাকার একটি সফটওয়্যার কোম্পানি ন্যাসেনিয়া লিমিটেডে চাকরি করার পর প্রফেসরদের থেকে ফান্ডিং ম্যানেজ করার জন্য মেইল করা শুরু করি। আমেরিকার কলেজগুলোতে ফান্ডিংয়ের জন্য প্রফেসর ম্যানেজ করতে হয় অথবা সরাসরি কলেজে অ্যাপ্লাই করতে হয়। নানা রকম বৈশ্বিক জটিলতার কারণে আমেরিকায় ফান্ডিং ম্যানেজ করা অন্য সেশনের তুলনায় কঠিন হয়ে উঠছিল। এ জন্য ইউরোপের দিকে নজর দিই। এতে ইতালি, সুইডেন, অস্ট্রিয়ার মতো দেশগুলো রয়েছে। এরমধ্যে আমার ব্যাচমেট বন্ধু (ইস্তি) সুইডেনে একটি স্কলারশিপের খোঁজ দেয়। প্রফেশনাল, যারা ৩ হাজার ঘণ্টার ওপর চাকরি করে ফেলেছেন, তাদের জন্য সুইডেন সরকারের এসআই স্কলারশিপ আছে। সেখানে লিডারশিপ ও কমিউনিটি ওয়ার্কের বিষয়গুলো দেখা হয়। আমার সিজিপিএ বেশি ভালো ছিল না। সেই চিন্তা থেকে ভাবলাম এখানে চেষ্টা করে দেখি। যেহেতু আমার নিজস্ব স্টার্টআপ আছে এবং মেশিন লার্নিং মেন্টর হিসেবে ইউটিউবে সরাসরি ক্লাস নিয়ে থাকি। বিষয়গুলো স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য প্রভাব ফেলতে পারে। তখন থেকে এসআই স্কলারশিপে আবেদন করার চিন্তা করি।

জাগো নিউজ: সুইডেনের এসআই স্কলারশিপ নিয়ে পড়ার সুযোগ পেলেন কীভাবে?
উৎসব কুমার ঘোষ: স্কলারশিপ পেতে প্রথমেই ৯০০ সুইডিশ ক্রোনা দিয়ে সুইডেনের চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাপ্লাই করতে হবে। মাসখানেক পর তারা রেজাল্ট দিয়ে থাকে। যদি কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফার আসে, তবেই এসআই স্কলারশিপে পাওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্য হিসেবে ধরা হয়। আবেদনের সময় ব্লেকিঞ্জ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিকে প্রথমদিকে রেখেছিলাম। কারণ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগটি বৈশ্বিকভাবে দ্বিতীয়। আমি যখন আমেরিকায় এবং ইউরোপের অন্যান্য দেশে অ্যাপ্লাই করছিলাম; তখন সিভি, মোটিভেশনাল লেটার, লেটার অব রিকোমেন্ডেশন—বিষয়গুলো গত বছরের নভেম্বর মাসেই গুছিয়ে রাখি। এ জন্য আমাকে শিক্ষকরা, আমার অফিসের সিনিয়র কলিগ এবং প্রজেক্ট ম্যানেজাররা সহযোগিতা করেন। সব কাগজপত্র আগেভাগেই ঠিক থাকার কারণে আবেদনের সময় তেমন বেগ পেতে হয়নি। কিছুদিন পর ব্লেকিঞ্জ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে অফার লেটার পাই। তখন এসআই স্কলারশিপের জন্য আলাদা করে এক হাজার বর্ণের একটি মোটিভেশনাল লেটার লিখতে হয়েছে। এতে সুইডেনে স্কলারশিপ পেলে তাদের কমিউনিটিতে কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারবো। তা ছাড়া বর্তমানে আমার কী ধরনের লিডারশিপ স্কিল আছে। স্কিলগুলো দিয়ে স্কলারশিপে মাস্টার্সের দুই বছরে কী কী ভূমিকা পালন করতে পারবো। এসব বিষয়গুলো উল্লেখ ছিল। আবেদনের একমাস পর বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার এবং তার আরও একমাস পর এসআই স্কলারশিপের ফলাফল পাই।

জাগো নিউজ: সুইডেন সরকারের এসআই বৃত্তি পেয়েছেন, আপনার অনুভূতি কেমন ছিল?
উৎসব কুমার ঘোষ: এসআই স্কলারশিপ পেয়ে যাবো, এটা কখনোই ভাবিনি। কারণ এটি পেতে অনেক জটিল প্রক্রিয়ার মধ্যে যেতে হয়। এটি সুইডেনের মোস্ট প্রেস্টিজিয়াস স্কলারশিপ। প্রতি বছর বৈশ্বিকভাবে ৪০০ জনকে দেওয়া হয়। অফার লেটার হাতে পাওয়ার পর অনেক ভালো লেগেছে। বাংলাদেশ থেকে ১৬ জন স্কলারশিপটি পেয়েছেন। এরমধ্যে আমিই একমাত্র কম্পিউটার সায়েন্স বিষয়ে স্কলারশিপটি পেয়েছি। তখন মনে হয়েছে পড়াশোনার বাইরেও কমিউনিটিতে আমার শিক্ষার মাধ্যমে অবদান রাখতে পারছি। সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিটা বৈশ্বিকভাবে বিচরণ করে। আমি এখান থেকে কাজ করলে বাইরে থেকেও কাজ করার সুযোগ আছে। তা ছাড়া ইউটিউবে আমার মেন্টরশিপের ভিডিও দেখে স্টুডেন্টরা উপকৃত হচ্ছে। এসআই স্কলারশিপ কমিটি, বিষয়গুলো যাচাই করেছেন। তখন মনে হয়েছে আমার শিক্ষার মাধ্যমে অন্যদের উপকৃত করতে পেরেছি। স্কলারশিপ পাওয়ার পর বাবা-মা, কাকা-কাকি, স্ত্রী, শিক্ষকদের জানাই। সুইডেনের পরিচিত বড় ভাইরা মোটিভেশান লেটার লিখতে অনেক সহযোগিতা করেছেন। লেটার অব রিকোমেন্ডেশনের সাথে কমিউনিটি ওয়ার্ক, লিডারশিপ স্কিল, তিন হাজার ঘণ্টা চাকরির অভিজ্ঞতার বিষয়গুলোর প্রমাণাদির ক্ষেত্রে প্রজেক্ট ম্যানেজার, কাদের ভাই এবং কোড স্টুডিও স্টার্টআপের সিইও, বন্ধু সৈকত হোসেন অনেক সহযোগিতা করেন। অফার পাওয়ার পর তাদেরও জানাই।

জাগো নিউজ: এসআই স্কলারশিপে পড়াশোনার জন্য কীভাবে আবেদন করতে হয়?
উৎসব কুমার ঘোষ: সুইডেনের চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের পাশাপাশি এসআই স্কলারশিপে আবেদন করতে হয়। এ ক্ষেত্রে একেক বিশ্ববিদ্যালয়ের একেক ধরনের রিকোয়ার্মেন্ট থাকে। কোথাও আলাদা করে মোটিভেশন লিখতে হতে পারে। এসএসসি ও এইচএসসির কাগজপত্র আবশ্যক নয়। তবে অনার্সের ট্রান্সক্রিপ্ট ও মার্কসশিট অবশ্যই লাগবে। এ ছাড়া আইইএলটিএস স্কোর লাগবে। কোনো একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতি বছরের মার্চের মধ্যে একটি অফার লেটার পেতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় পেলে এসআই স্কলারশিপের জন যোগ্য হবেন। তাছাড়া যে স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করবেন, তা অবশ্যই এসআই স্কলারশিপের জন্য যোগ্য হতে হবে। এসআই স্কলারশিপের ক্ষেত্রে মোটিভেশন লেটার, সিভি, লিডারশিপ স্কিল, কমিউনিটি ওয়ার্কের প্রমাণ, তিন হাজার ঘণ্টা কাজের প্রমাণ দেখাতে হয়। এতে সিজিপিএ তেমন একটা ম্যাটার করে না। তবে লিডারশিপ স্কিল এবং সোসাইটির জন্য আপনি কী করছেন, সেটা দেখা হয়।

জাগো নিউজ: এ স্কলারশিপে কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়?
উৎসব কুমার ঘোষ: যে বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাবেন; সেখানে ফ্রিতে পড়তে দেওয়া হবে। কোনো টিউশন ফি নেই। জীবনযাত্রার খরচ মেটাতে প্রতি মাসে ১২ হাজার সুইডিস ক্রোনা (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১ লাখ ৩৩ হাজার ৩২৬ টাকা) দেওয়া হবে (ট্যাক্স ফ্রি)। স্বাস্থ্যবিমাসহ ভ্রমণের জন্য ১৫ হাজার সুইডিশ ক্রোনার অনুদান দেওয়া হয়। এসআই নেটওয়ার্ক ফর ফিউচার গ্লোবাল প্রফেশনালসের মেম্বারশিপ ও এসআই অ্যালামনাই নেটওয়ার্কের মেম্বারশিপ লাভের সুযোগ, যা শক্তিশালী একটি নেটওয়ার্ক গঠনের সুযোগ করে দেয়। পড়াশোনার পাশাপাশি সপ্তাহে ১০-৩০ ঘণ্টা জবের সুযোগ আছে। জব করে ২ বছরে কিছু টাকা জমিয়ে জব সিকার ভিসা নেওয়া যায়। এটি ১ বছরের জন্য।

জাগো নিউজ: যারা এ স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে চান, তাদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?
উৎসব কুমার ঘোষ: এসআই স্কলারশিপ পেতে প্রথমেই চাকরিতে ঢুকে যেতে হবে। কারণ তিন হাজার ঘণ্টা কাজের অভিজ্ঞতা না থাকলে আবেদন করা যাবে না। এ স্কলারশিপে লিডারশিপ স্কিল দেখা হয়। তাই যে কোম্পানিতে জব করবেন; সেখানে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি প্রজেক্ট লিড হিসেবে কাজ করতে পারলে ভালো। এ ছাড়া কমিউনিটি ওয়ার্ক অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যে সেক্টরেই কাজ করেন না কেন, আপনি কমিউনিটির জন্য কিছু করছেন। আপনার সে স্কিল আছে। সুইডেনের কমিউনিটিতে হয়তো আপনি কিছু করতে পারেন। সেগুলো প্রমাণের জন্য আগে দেশের কমিউনিটিতে কাজ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে এসআই স্কলারশিপ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। কাজগুলো যাতে দৃশ্যমান হয়। এতে আপনার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। আমার ক্ষেত্রে, ইউটিউব চ্যানেলে বিভিন্ন শিক্ষণীয় ভিডিও ছিল। এটি কাজে দিয়েছে। নতুনরা আগে ভালোভাবে পড়াশোনা করুন, তারপর জব শুরু করুন। এরপর এসআই স্কলারশিপে আবেদন করতে পারবেন।

এসইউ/জেআইএম

Read Entire Article