ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সুদের টাকা না পেয়ে এক দিনমজুরের বসতভিটা দখল করার অভিযোগ উঠেছে। টাকা দিতে না পারায় বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে তাদের। সেই সঙ্গে বসতভিটা রেজিস্ট্রি করতে চাপও দেওয়া হচ্ছে।
বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী কালীগঞ্জ উপজেলার ফয়লা গ্রামের লতিফুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনের তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত ২০২২ সালে কালীগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী আব্দুল ওহাবের কাছ থেকে তিনি বিশেষ প্রয়োজনে ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা ধার নেন। আরও ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ছিল। সেখানে শর্ত ছিল ৩ বছর ৩ মাসের মধ্যে ১০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে। টাকা পরিশোধ না করতে পারলে বাজারদরে তার বসতভিটা আব্দুল ওহাবের কাছে বিক্রি করে দিতে হবে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের আগেই তাকে সুদসহ টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য চাপ দিতে শুরু করে আব্দুল ওহাব।
পরে টাকা না পেয়ে সর্বশেষে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় আব্দুল ওয়াব। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বর্তমানে বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতে হচ্ছে ভুক্তভোগী লতিফুল আলমকে। একইসঙ্গে ওই বাড়ি লিখে দিতে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। এ নিয়ে আদালতে মামলা থাকার পরও আব্দুল ওহাব বিভিন্নভাবে তাকে হুমকি দিয়ে আসছে।
ভুক্তভোগী লতিফুল আলম বলেন, এর আগে আমার স্ত্রী জবা বানুকে মারধর করেছে আব্দুল ওহাবের লোকজন। আমার বাড়িতেও হামলা করে লুটপাট করেছে। প্রাণভয়ে আমি এখন পরিবার নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আব্দুল ওহাব কালবেলাকে বলেন, লতিফুল একজন প্রতারক। আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে, সে-ই টাকা দিচ্ছে না। টাকা দিতে না পারায় আমাকে জমি রেজিস্ট্রি করে দিয়েছে। এই জমি আমার নামে নাম পত্তনও হয়েছে। এখন সে সংবাদ সম্মেলন করে নানাভাবে আমাকে হেয় করার চেষ্টা করছে।