সুন্দরবনে মুক্তিপণের জন্য চার জেলেকে অপহরণ
মৌসুম শুরুর আগেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে সুন্দরবনের জলদস্যুরা। মুক্তিপণের দাবিতে সোমবার (২৫ আগস্ট) ও মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সুন্দরবন সংলগ্ন নদী থেকে চার জেলেকে অপহরণ করেছে তারা। বুধবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অপহৃত জেলেদের সহকর্মী আবুল হোসেন ও আব্দুল আজিজ।
অপহৃতরা হলেন শ্যামনগরের মীরগাং গ্রামের সাকাত সরদারের ছেলে মো. ইবরাহিম, পারশেখালী গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে আব্দুল হামিদ, টেংরাখালী গ্রামের সুজন মুন্ডার ছেলে সুজিত ও কালিঞ্চি গ্রামের কেনা গাজীর ছেলে রকিবুল ইসলাম।
অপহৃত জেলেদের সহকর্মী আবুল হোসেন ও আব্দুল আজিজ জানান, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে সুন্দরবনের গভীরে মাছ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তারা। এর অংশ হিসেবে খালে নৌকা ও জাল মেরামতের কাজ করছিলেন দাড়গাং নদী সংলগ্ন এলাকায়। এ সময় সোমবার ও মঙ্গলবার দুই দফায় ছয়-সাতজনের একদল জলদস্যু সেখানে হামলা চালায়। একপর্যায়ে ৪টি নৌকা থেকে চার জেলেকে ধরে নিয়ে যায় তারা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ লালটু জানান, জলদস্যুরা নিজেদের ‘কাজল বাহিনী’ বলে পরিচয় দিয়েছে। তারা প্রত্যেক জেলের মুক্তিপণ বাবদ মাথাপিছু ৫০ হাজার টাকা দাবি করেছে।
তিনি জানান, এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি সম্প্রতি ২৫-৩০ হাজার টাকার কাঁচামাল বাজার করে সুন্দরবনে পাঠিয়েছে।
পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মো. ফজলুল হক বলেন, ‘বর্তমানে সুন্দরবনে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বৈধভাবে কেউ সুন্দরবনে যেতে পারছে না। শুনেছি, বন সংলগ্ন খালে নৌকা প্রস্তুত করার সময় কয়েকজন জেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। তবে এখনো কোনো ভুক্তভোগীর পরিবার আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি।’
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির মোল্লা বলেন, ‘কয়েকজন জেলে অপহৃত হওয়ার বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’