মাঝে সংযুক্ত আরব আমিরাত আর পাকিস্তানের কাছে পরপর ২ সিরিজ হেরেছে। মনে হচ্ছিল, শনির দশায় পেয়েছে টাইগারদের। এরপর শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়েও প্রথম ম্যাচ হেরে আরও তলানিতে পড়ে যাওয়া। কিন্তু সেই পিছিয়ে পড়া অবস্থায় শ্রীলঙ্কার মাটিতে লঙ্কানদের ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারায় বাংলাদেশ।
ওই সিরিজ জয় দিয়ে আবার নিজেদের ফিরে পাওয়া। তারপর ঘরের মাঠে পাকিস্তান ও নেদারল্যান্ডসকে হারিয়েছে লিটন দাসের দল। শুধু টানা তিন সিরিজ বিজয়ই নয়, আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে পারফরম্যান্সের গ্রাফটাও উঠেছে ওপরে।
তাই ভক্ত-সমর্থকরা আশাবাদী, এবারের এশিয়া কাপে হয়তো ভাল কিছু করতে পারে বাংলাদেশ। বলার অপেক্ষা রাখে না সেই ‘ভালো’ মানে হচ্ছে গ্রুপের গণ্ডি পেরিয়ে ‘সুপার ফোরে’ পা রাখা।
আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা আর হংকংয়ের সাথে গ্রুপে অন্তত দ্বিতীয় স্থান পাওয়াই প্রথম লক্ষ্য বাংলাদেশের। সেটা কি পারবে?
হিসেব সহজ। গ্রুপে চার দলের মধ্যে প্রথম দুই দলে থাকতে হলে অন্তত ২ ম্যাচ জিততে হবে। গ্রুপে তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ হলো হংকং। প্রথম ম্যাচে আফগান ঝড়ে বিধ্বস্ত হংকং হেরেছে ৯৪ রানে।
আগামীকাল ১১ সেপ্টেম্বর আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে এবারের এশিয়া কাপ শুরু করতে যাচ্ছে লিটন দাসের দল। ওই ম্যাচ জেতা হলো প্রথম শর্তপূরণ।
তারপর শ্রীলঙ্কা আর আফগানিস্তানের এক দলকে হারানোর প্রশ্ন। বাংলাদেশ এই দুই দলের মধ্যে কাদের হারাতে পারবে? জাতীয় দলের সাবেক ওপেনার জাভেদ ওমর মনে করেন, সুপার ফোরে খেলতে হলে বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কাকেই টার্গেট করা উচিত।
জাভেদের মতে, হংকং কোন বাধা হবে না। যদিও ইতিহাস জানাচ্ছে, ২০১৪ সালে ঘরের মাঠ চট্টগ্রামে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে এই হংকংয়ের কাছে ২ উইকেটে হারার রেকর্ড আছে বাংলাদেশের। কাজেই হংকংকেও খুব হালকাভাবে নেওয়ার কিছু নেই।
জাভেদের অনুভব, খেলাটা ২০ ওভারের বলেই অমনটা ঘটেছিল। ক্রিকেটের এই ফরম্যাটে দুই দলের শক্তির তারতম্য কমে যায়। তাতে করে ছোট ও দুর্বল দলের জেতার সম্ভাবনাও থাকে বেশি। তারপরও এবারের এশিয়া কাপে বাংলাদেশের সঙ্গে হংকং পারবে, তেমনটা মনে করেন না জাভেদ।
জাতীয় দলের সাবেক ওপেনারের ব্যাখ্যা, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রতিক সময় ও নিকট অতীতে ভালো ক্রিকেট খেলেছে, খেলছে। বাংলাদেশ দল মোটামুটি ছন্দে আছে। টানা তিনটি সিরিজ জিতেছে। এবার হংকং আর পেরে উঠবে না টাইগারদের সঙ্গে। লিটন দাসের দল দেখবেন সহজে জিতে গেছে।’
তবে ‘সুপার ফোরে’ নাম লেখানো এতটা সহজ হবে না। জাভেদের কথা, ‘আমার মনে হয় না এশিয়া কাপে সুপার ফোরে পা রাখা সহজ হবে। আফগানিস্তান বেশ শক্তিশালী। খুব টাফ প্রতিপক্ষ। বিশেষ করে ফজলহক, রশিদ খান, নুর আর নবির গড়া আফগান বোলিং বেশ ধরালো, শক্তিশালী। বৈচিত্র্যও আছে প্রচুর। তাই আফগানদের সঙ্গে পেরে ওঠা কঠিন হবে। তাই শ্রীলঙ্কাকে হারানোর কথাই বেশি চিন্তা করা উচিত।’
এআরবি/এমএমআর/এমএস