‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্তভাবে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) অনুমোদিত হয়েছে। শিগগির লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের রুটিন ভেটিং সাপেক্ষে অধ্যাদেশটির খসড়া চূড়ান্ত হবে আশা করা যাচ্ছে।’
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, প্রধান বিচারপতি ঘোষিত বিচার বিভাগ সংস্কার রোডম্যাপের এরূপ পর্যায়ক্রমিক বাস্তবায়ন দেশে বিচার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনয়ন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের।
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই দেশের বিচারবিভাগের মানোন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় বিগত ২১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের ইনার কোর্ট ইয়ার্ডে আইন উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, অ্যাটর্নি-জেনারেল এবং দেশের জেলা আদালতগুলোর বিচারকদের সম্মুখে বিচার বিভাগ আধুনিকায়নের রোডম্যাপ ঘোষণা করেন।
রোডম্যাপে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগের জন্য একটি স্বাধীন জুডিসিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল গঠন করার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়নের বিষয়ে অন্তবর্তী সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পাশাপাশি, গত ২৮ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ সংক্রান্ত আইন, বিধিবিধান, উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত, প্রথাসহ আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিষদ গবেষণা করে একটি প্রস্তাব আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠায়।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৬ জানুয়ারি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হয়। অতি শিগগির লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের রুটিন ভেটিং সাপেক্ষে অধ্যাদেশটির খসড়া চূড়ান্ত হবে মর্মে আশা করা যাচ্ছে। প্রধান বিচারপতি ঘোষিত বিচারবিভাগ সংস্কার রোডম্যাপের এরূপ পর্যায়ক্রমিক বাস্তবায়ন দেশে বিচার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনয়ন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।
এফএইচ/এমএএএইচ/এএসএম