সূচকের উত্থান, লেনদেন কমে ৩০০ কোটির ঘরে
টানা দরপতন থেকে বেরিয়ে দেশের শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলেছে। তবে কমে গেছে লেনদেনের গতি। সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে সবকটি মূল্যসূচক। তবে লেনদেন কমে তিনশ কোটি টাকার ঘরে নেমেছে। অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জও (সিএসই) বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। এরপরও কমেছে মূল্যসূচক। তবে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। এর মাধ্যমে সিএসইতে চলতি সপ্তাহের তিন কার্যদিবসেই মূল্যসূচক কমলো। সপ্তাহের প্রথম দুই কার্যদিবস দরপতনের পর মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকে। ফল অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচক বেড়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলিয়ে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ২৮৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ৫৬টির। আর ৪৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্য
টানা দরপতন থেকে বেরিয়ে দেশের শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলেছে। তবে কমে গেছে লেনদেনের গতি। সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে সবকটি মূল্যসূচক। তবে লেনদেন কমে তিনশ কোটি টাকার ঘরে নেমেছে।
অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জও (সিএসই) বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। এরপরও কমেছে মূল্যসূচক। তবে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। এর মাধ্যমে সিএসইতে চলতি সপ্তাহের তিন কার্যদিবসেই মূল্যসূচক কমলো।
সপ্তাহের প্রথম দুই কার্যদিবস দরপতনের পর মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকে। ফল অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচক বেড়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলিয়ে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ২৮৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ৫৬টির। আর ৪৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৫৪টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে ৩১টির দাম কমেছে এবং ২৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মাঝারি মানের বা ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়া ৭১টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে ৩টির দাম কমেছে এবং ৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার কারণে ‘জেড’ গ্রুপে স্থান হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৬০টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২২টির এবং ১৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আর তালিকাভুক্ত ৩৫টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১টির দাম কমেছে এবং ১৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩৬ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৯৫০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১০ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯০৬ পয়েন্টে উঠে এসেছে।
সবকটি মূল্যসূচক বাড়লেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৭৯ কোটি ৭ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪১৫ কোটি ৯০ টাকা। এ হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৩৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে ১১ কার্যদিবসের মধ্যে ডিএসইতে সবচেয়ে কম লেনদেন হলো।
এ লেনদেনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৮ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা শাহজিবাজার পাওয়ারের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ৫২ লাখ টাকার। ১১ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং, সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, লাভেলো আইসক্রিম, মুন্নু ফেব্রিক্স, রানার অটোমোবাইল, সামিট এলায়েন্স পোর্ট এবং রহিমা ফুড।
অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৬৩ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৭টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৫৮টির এবং ১৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৫১ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
এমএএস/এমকেআর/জেআইএম
What's Your Reaction?