চাঁদপুরের মতলব উত্তরের ছেংগারচর পৌর এলাকায় বাম্পার ফলনের আশায় সূর্যমুখীর হাসিতে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার স্বপ্ন দেখছেন চাষি জসীম উদ্দিন। দূর-দূরান্ত থেকে আসা মানুষ সূর্যমুখীর অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে ও ছবি তুলতে ভিড় জমাচ্ছেন।
জানা যায়, জসীম উদ্দিন পৌর এলাকার দেওয়ানজিকান্দি গ্রামে ৩১ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছেন। তৃতীয়বারের মতো হাইসেন জাতের সূর্যমুখী চাষ করে আশার আলো দেখছেন। মতলব উত্তরের কৃষি অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশীয় ঘানি ব্যবহার করলে পরিপক্ব সূর্যমুখী ফুলের বীজ থকে তেল ভাঙানো যায়।
চাষি জসীম উদ্দিন বলেন, ‘চলতি মৌসুমে কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় সূর্যমুখী চাষ করেছি। গত দুই বছরও চাষ করেছিলাম। প্রথমবার লাভবান হয়েছিলাম। দ্বিতীয়বার প্রাকৃতিক দুর্যোগে লাভবান হতে পারিনি। আশা করছি এ বছর লাভবান হবো। আগামী দিনে চাষ আরও বাড়াতে চাই।’
উপজেলার ষাটনল ইউনিয়নের রিয়া সরকার বলেন, ‘প্রকৃতির ঘ্রাণ নিতে বান্ধবীদের নিয়ে সূর্যসুখী ফুলের বাগানে এসেছি। ফুলের গন্ধে মন নেচে উঠেছে।’
ফুলের বাগান দেখতে আসা মুন্নী আক্তার বলেন, ‘ঘরবন্দি অবস্থা থেকে একটু মুক্ত হাওয়ায় বেড়াতে ও বাগানভরা ফুল দেখতে এখানে আসা। এখানে প্রাকৃতিক পরিবেশ খুব সুন্দর লাগছে। তাই সবাই মিলে মনোরম দৃশ্য ফ্রেমে বন্দি করছি।’
ঘুরতে আসা শিক্ষার্থী মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘বাসাবাড়িতে বিভিন্ন রকমের ফুলের বাগান করা যায়। কিন্তু সূর্যমুখী ফুলের বাগান করা খুব একটা হয়ে ওঠে না। এ ছাড়া একসঙ্গে অনেক সূর্যমুখী ফুল দেখে মনটা ভরে যায়।’
চাঁদপুর মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘উৎপাদন বাড়ানোর জন্য আগামীতে উপজেলার অন্য এলাকায় যাতে সূর্যমুখী চাষ করা যায়। সেজন্য কৃষকদের বীজ, সারসহ প্রযুক্তিগত সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে। অন্য তেলের তুলনায় সূর্যমুখীর চাহিদা বেশি। আমরা এই তেলজাতীয় ফসল চাষাবাদে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।’
শরীফুল ইসলাম/এসইউ/জিকেএস