সেই এনায়েত ফের ৫ দিনের রিমান্ডে

9 hours ago 5

সরকার ‘উৎখাতের ষড়যন্ত্রে’ জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরীকে তৃতীয় দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২২ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইসতিয়াকের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের এ আদেশ দেন। 

এর আগে এই মামলায় দুই দফায় তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রসিকিউশন পুলিশের এসআই জিন্নাত আলী এ তথ্য জানিয়েছেন। 

গত ১৩ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রমনা মডেল থানা পুলিশ এনায়েত করিম চৌধুরীকে আটক করে। পরে দুই দফায় মোট সাত দিনের রিমান্ড শেষে ২২ সেপ্টেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এরপর গত ১৩ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের রমনা জোনাল টিমের পরিদর্শক মো. আখতার মোর্শেদ আসামির সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আদালত আসামির উপস্থিতিতে শুনানির জন্য ওই দিন নির্ধারণ করেন।
সকালেই শুনানিকালে এনায়েত করিমকে আদালতে হাজির করা হয়। আসামিপক্ষের আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে এনায়েত করিমকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ১৩ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মিন্টো রোড এলাকায় প্রাডো গাড়িতে করে ‘সন্দেহজনকভাবে’ ঘোরাফেরা করছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরী। সন্দেহজনক আচরণ দেখে পুলিশ গাড়িটি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। পরে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয় এবং তার কাছ থেকে দুটি আইফোন জব্দ করা হয়।

এ ঘটনায় এসআই আজিজুল হাকিম রমনা মডেল থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় এনায়েত করিমের সহযোগী হিসেবে এসএম গোলাম মোস্তফা আজাদ, জাতীয় পার্টির রওশনপন্থি অংশের মহাসচিব কাজী মো. মামুনুর রশীদ, সাংবাদিক মো. আজহার আলী সরকার এবং যুব সংহতির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব রিফাতুল ইসলাম পাভেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

Read Entire Article