সোনার খোঁজে ভিড় বাড়ছে পাহাড়ে

সোনার খোঁজে ভিড় বাড়ছে ক্যালিফোর্নিয়ার পাহাড়ে। সম্প্রতি সিয়েরা নেভাডা পর্বতমালার পাদদেশে নতুন করে সোনা খোঁজার উন্মাদনা দেখা দিয়েছে। সোনার রেকর্ড দামের কারণে প্রতিনিয়ত পাহাড়ে ভিড় করছেন পর্যটক, অবসরপ্রাপ্ত মানুষ ও ভাগ্য অনুসন্ধানীরা। জেমসটাউনে দ্বিতীয় প্রজন্মের সোনা অনুসন্ধানকারী নিক প্রেবালিক সোনার কণা খুঁজে পাওয়ার কৌশল শেখাচ্ছিলেন আগন্তুকদের। তার দেখানো পদ্ধতিতে প্যান ঘুরিয়ে ধোয়ার পর মাটির স্তর সরতে সরতে শেষে মিললো এক টুকরো সোনা। সেটির দাম প্রায় ২০ ডলার বলে জানান তিনি। বর্তমানে সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৪ হাজার ৩৮০ ডলারে পৌঁছেছে, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৫৫ শতাংশ বেশি। বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, আগামী বছরে সোনার দাম আউন্সপ্রতি পাঁচ হাজার ডলার ছুঁতে পারে। আরও পড়ুন>>অগ্রণী ব্যাংকে শেখ হাসিনার দুই লকারে পাওয়া গেল ৮৩২.৫ ভরি সোনাশেখ হাসিনার লকারে ছিল সোনার নৌকা-হরিণসহ বিভিন্ন গহনাবিশ্ববাজারে সোনার দাম বেড়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ এই উচ্চমূল্যের সুযোগে নতুনরা নাম লেখাচ্ছেন খনন ক্লাবে। দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার টেমেকুলা ভ্যালি প্রসপেক্টরস ক্লাবের সভাপতি মার্টি পলসেন জানান, প্রতি সভাতেই নতুন মুখ দেখা

সোনার খোঁজে ভিড় বাড়ছে পাহাড়ে

সোনার খোঁজে ভিড় বাড়ছে ক্যালিফোর্নিয়ার পাহাড়ে। সম্প্রতি সিয়েরা নেভাডা পর্বতমালার পাদদেশে নতুন করে সোনা খোঁজার উন্মাদনা দেখা দিয়েছে। সোনার রেকর্ড দামের কারণে প্রতিনিয়ত পাহাড়ে ভিড় করছেন পর্যটক, অবসরপ্রাপ্ত মানুষ ও ভাগ্য অনুসন্ধানীরা।

জেমসটাউনে দ্বিতীয় প্রজন্মের সোনা অনুসন্ধানকারী নিক প্রেবালিক সোনার কণা খুঁজে পাওয়ার কৌশল শেখাচ্ছিলেন আগন্তুকদের। তার দেখানো পদ্ধতিতে প্যান ঘুরিয়ে ধোয়ার পর মাটির স্তর সরতে সরতে শেষে মিললো এক টুকরো সোনা। সেটির দাম প্রায় ২০ ডলার বলে জানান তিনি।

বর্তমানে সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৪ হাজার ৩৮০ ডলারে পৌঁছেছে, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৫৫ শতাংশ বেশি। বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, আগামী বছরে সোনার দাম আউন্সপ্রতি পাঁচ হাজার ডলার ছুঁতে পারে।

আরও পড়ুন>>
অগ্রণী ব্যাংকে শেখ হাসিনার দুই লকারে পাওয়া গেল ৮৩২.৫ ভরি সোনা
শেখ হাসিনার লকারে ছিল সোনার নৌকা-হরিণসহ বিভিন্ন গহনা
বিশ্ববাজারে সোনার দাম বেড়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ

এই উচ্চমূল্যের সুযোগে নতুনরা নাম লেখাচ্ছেন খনন ক্লাবে। দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার টেমেকুলা ভ্যালি প্রসপেক্টরস ক্লাবের সভাপতি মার্টি পলসেন জানান, প্রতি সভাতেই নতুন মুখ দেখা যাচ্ছে।

শুধু উচ্চমূল্য নয়, বরং গত কয়েক বছরের শক্তিশালী শীতকালীন ঝড় পাহাড়ি এলাকায় মাটির গভীরে লুকিয়ে থাকা সোনার স্তরগুলোকে নড়বড়ে করেছে। বসন্তে বরফ ও বৃষ্টির পানি গলে নদী ও খালে সোনার খণ্ডগুলো গড়িয়ে এসে থিতু হয়। ভাগ্যবান কোনো অনুসন্ধানকারী সেখান থেকে কুড়িয়ে নিতে পারেন সেগুলো।

সোনার উন্মাদনা আরও বাড়িয়েছে ডিসকভারি চ্যানেলের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘গোল্ড রাশ’। খনি অনুসন্ধানকে কেন্দ্র করে নির্মিত এই রিয়্যালিটি শো এখন সোলো মৌসুমে।

এই সোনা খোঁজার মিশনে ক্যালিফোর্নিয়ার পুরোনো খনি-শহরগুলো আবারও সরগরম হয়ে উঠেছে। কলম্বিয়ার মতো শহরে দেখা মিলছে মাদার লোড সেপটিক সার্ভিসেস, মাদার লোড ড্যান্স অ্যাকাডেমি কিংবা চার্চ অব দ্য ফোর্টি নাইনার্স— হোয়্যার গড ইজ দ্য গোল্ড!—এর মতো ব্যবসা ও প্রতিষ্ঠানের।

তবে এখনো ঝুঁকি রয়ে গেছে। অনুসন্ধানকারীরা বলেন, সোনা পাওয়া যতটা সৌভাগ্যের, তার চেয়ে ব্যবসা করে সরঞ্জাম বিক্রি করেই বেশি লাভবান হচ্ছে অনেকে। একদিনে ১২৭ আউন্স সোনা পাওয়ার অভিজ্ঞতা থাকলেও নিক প্রেবালিকের মতে, ‘লোভই সোনার চেয়ে নিশ্চিত লাভজনক।’

সূত্র: দ্য ইকোনমিস্ট
কেএএ/

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow