সোনার বাংলার এমন পরিস্থিতি দেখব ভাবিনি: পাওলি দাম

টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পাওলি দামের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বহুদিনের। ‘মনের মানুষ’, ‘সত্তা’ কিংবা ‘মাটি’ সিনেমার সুবাদে এদেশের দর্শকদের কাছে তিনি বেশ আপন। অথচ সেই প্রিয় দেশটিতে ফিরতে এখন ভয় পাচ্ছেন অভিনেত্রী। নিরাপত্তাহীনতার কারণে আটকে আছে তার নতুন সিনেমার কাজ। সম্প্রতি বাংলাদেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি, গণমাধ্যমে হামলা এবং নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলেছেন পাওলি। ১৮ জুলাইয়ের সেই ভয়াল স্মৃতি পাওলি দাম জানান, গত বছর পুরান ঢাকায় একটি সিনেমার শুটিং চলাকালীন ছাত্র আন্দোলন শুরু হলে তাকে তাড়াহুড়ো করে দেশ ছাড়তে হয়। তিনি বলেন, ‘১৮ জুলাই ২০২৪-এ বাংলাদেশ থেকে বেরিয়ে আসতে হয়েছিল আমাকে। ওই সময় স্টুডেন্ট প্রোটেস্ট হচ্ছিল। পরপর শুটিং ক্যানসেল হওয়াতে আমার টিম ব্যবস্থা করে দেয় এবং আমি বেরিয়ে আসি। তারপর থেকে আর গিয়ে উঠতে পারিনি।’ অসম্পূর্ণ সিনেমার কাজ টানা এক বছর ধরে পরিস্থিতির উন্নতির অপেক্ষায় থাকলেও শুটিংয়ে ফেরা সম্ভব হয়নি পাওলির পক্ষে। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ‘একটা ছবি শেষ হলো না, সেটার তো একটা খারাপ লাগা থাকেই। নিরাপত্তাহীনতার কারণেই ওরা আমাকে নিয়ে যেতে পারছেন না কা

সোনার বাংলার এমন পরিস্থিতি দেখব ভাবিনি: পাওলি দাম
টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পাওলি দামের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বহুদিনের। ‘মনের মানুষ’, ‘সত্তা’ কিংবা ‘মাটি’ সিনেমার সুবাদে এদেশের দর্শকদের কাছে তিনি বেশ আপন। অথচ সেই প্রিয় দেশটিতে ফিরতে এখন ভয় পাচ্ছেন অভিনেত্রী। নিরাপত্তাহীনতার কারণে আটকে আছে তার নতুন সিনেমার কাজ। সম্প্রতি বাংলাদেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি, গণমাধ্যমে হামলা এবং নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলেছেন পাওলি। ১৮ জুলাইয়ের সেই ভয়াল স্মৃতি পাওলি দাম জানান, গত বছর পুরান ঢাকায় একটি সিনেমার শুটিং চলাকালীন ছাত্র আন্দোলন শুরু হলে তাকে তাড়াহুড়ো করে দেশ ছাড়তে হয়। তিনি বলেন, ‘১৮ জুলাই ২০২৪-এ বাংলাদেশ থেকে বেরিয়ে আসতে হয়েছিল আমাকে। ওই সময় স্টুডেন্ট প্রোটেস্ট হচ্ছিল। পরপর শুটিং ক্যানসেল হওয়াতে আমার টিম ব্যবস্থা করে দেয় এবং আমি বেরিয়ে আসি। তারপর থেকে আর গিয়ে উঠতে পারিনি।’ অসম্পূর্ণ সিনেমার কাজ টানা এক বছর ধরে পরিস্থিতির উন্নতির অপেক্ষায় থাকলেও শুটিংয়ে ফেরা সম্ভব হয়নি পাওলির পক্ষে। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ‘একটা ছবি শেষ হলো না, সেটার তো একটা খারাপ লাগা থাকেই। নিরাপত্তাহীনতার কারণেই ওরা আমাকে নিয়ে যেতে পারছেন না কাজটা কমপ্লিট করতে।’ গণমাধ্যমের ওপর হামলায় ব্যথিত সম্প্রতি বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পাওলি। তিনি বলেন, ‘এই দুটি অফিসেই আমার যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের অফিস পুড়িয়ে দেওয়ার দৃশ্য দেখে আমি অত্যন্ত দুঃখিত এবং মর্মাহত। সোনার বাংলার যে এমন একটা পরিস্থিতি হবে, তা ভাবিনি।’ ‘ভারতীয় এজেন্ট’ তকমা ও শিল্পীর দায়বদ্ধতা বাংলাদেশে কাজ করতে গেলে ‘ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট’ তকমা দেওয়া বা নিরাপত্তার ঝুঁকি প্রসঙ্গে পাওলি বলেন, ‘এই কথাগুলো বহু বছর ধরেই শুনে আসছি। কিন্তু আমরা শিল্পী, শিল্পের মাধ্যমেই আমাদের সবকিছু। সেখানে কোনো রাজনৈতিক বিষয় বা কাঁটাতারের বেড়া থাকে না। আমরা যেকোনো জায়গায় গিয়ে কাজ করতে পারি।’ তবে তিনি শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘আগের মতো যদি পরিস্থিতি ঠিক নাও হয়, আমরা কি আর আগের মতো স্বতঃস্ফূর্তভাবে গিয়ে কাজ করতে পারব? প্রশ্নটা থেকেই যায়।’ সহকর্মীদের নীরবতায় হতাশা বাংলাদেশের অনেক শিল্পী কলকাতায় গিয়ে কাজ করলেও দেশের পরিস্থিতি নিয়ে তাদের নীরবতায় হতাশ পাওলি। তিনি বলেন, ‘অনেকে এখানে এসে কাজও করছেন। তারা কেউই সেই সম্বন্ধে কোনো কিছুই বলেন না। সেটাও দুঃখজনক।’ পাওলি জানান, তার অনেক পরিচিত মানুষ ও বন্ধু দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। যারা মাটি কামড়ে পড়ে আছেন, তাদের নিরাপত্তা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে তিনি ভীষণ দুশ্চিন্তায় আছেন। সবশেষে বাংলাদেশের মানুষের শান্তি ও সুস্থতা কামনা করেন এই অভিনেত্রী।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow