সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাত্রা উৎসব

1 hour ago 4

আবহমান বাংলার চিরায়ত লোকসংস্কৃতির অন্যতম শাখা যাত্রাপালা। এটি লোকজ ঐতিহ্যের পাশাপাশি সব সময় গণমানুষের কথা বলে। প্রযুক্তির উৎকর্ষতা ও আধুনিকায়নের কারণে যাত্রাপালা তার ঐতিহ্য ও আবেদন হারিয়েছে। ঐতিহ্যবাহী এ যাত্রাপালাকে আরও বেশি গণমুখী করার লক্ষ্যে শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্ত মঞ্চে শুরু হলো সপ্তাহব্যাপী যাত্রা উৎসব।

‘যদি তুমি ভয় পাও তবে তুমি শেষ, যদি তুমি রুখে দাঁড়াও তবে তুমিই বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে আজ (১ নভেম্বর) শুক্রবার সন্ধ্যায় এ উৎসবের উদ্বোধনী আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ইসরাফিল মজুমদার।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাত্রা উৎসব

একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন যাত্রাশিল্পী অনিমা দে। উদ্বোধনী সন্ধ্যায় দেখানো হয় সুরভী অপেরার ‘নিহত গোলাপ’। পালাকার আগন্তুকের পালাটি নির্দেশনায় ছিলেন কবির খান।

মাধবপুর জমিদারের চক্রান্তের এক বাস্তব কাহিনি তুলে ধরা হয়েছে ‘নিহত গোলাপ’ যাত্রাপালায়। করুণ কাহিনি নির্ভর সেই চক্রান্তের বলি হয়েছিল রাধারানী কলেজের মেধাবী ছাত্র গোকুল। জমিদারের আত্মীয়কে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করানোর কারণে গোকুলের জীবনে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার। গোকুলকে কলেজ থেকে বের করে দেওয়া হয় ‘নিচু জাতের’ ছেলে বলে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাত্রা উৎসব

পরে সে সমাজ বিরোধী কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ে। অন্যদিকে ভাগ্যের পরিহাসে তার প্রেমিকা যৌনপল্লিতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। কোনো একদিন গোকুল ছিনতাইয়ের অপরাধে ঐ পল্লিতে আশ্রয় নেয়। অবশেষে একদিন সে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। বিচারে তার সাজা হয়। এভাবেই এগিয়ে যায় কাহিনি।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাত্রা উৎসব

৭ দিনের এ উৎসবে মোট ৭টি যাত্রাপালা পরিবেশিত হবে। অন্য পালাগুলো হলো- নিউ শামীম নাট্য সংস্থার ‘আনার কলি’, বঙ্গবাণী অপেরার ‘মেঘে ঢাকা তারা’, নর-নারায়ণ অপেরার ‘লালন ফকির’, বন্ধু অপেরার ‘আপন দুলাল’, শারমিন অপেরার ‘ফুলন দেবী’ ও যাত্রাবন্ধু অপেরার ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’। আসছে ৭ নভেম্বর শেষ হবে এ যাত্রা উৎসব।

এমআই/এমএমএফ/এএসএম

Read Entire Article