স্টার্ক-হ্যাজেলউড-কামিন্স নন, ক্লার্কের চোখ সেরা পেসার বুমরাহ

23 hours ago 12

অস্ট্রেলিয়াতেই তো পেসারদের ছড়াছড়ি। যে দলে আছেন মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজেলউড, প্যাট কামিন্স ও স্কট বোল্যান্ডদের মতো গতিতারকা। চাইলে সেখান থেকেই বর্তমান ক্রিকেটাঙ্গনের সেরা পেসার খুঁজে নেওয়া যায়। কারণ, কেউ তো কম না; সবাই দুর্ধর্ষ, আক্রমণাত্মক ও প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের মনে আতঙ্ক তৈরি করার মতো বোলার।

কিন্তু অস্ট্রেলিয়ান সাবেক ক্রিকেটার মাইকেল ক্লার্কের চোখে তার স্বদেশি কেউই সেরা নন। বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে ৩২ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরা ভারতীয় পেসার জাসপ্রিত বুমরাই সাবেক অসি অধিনায়কের কাছে বর্তমানে সব ফরম্যাটের সেরা ফাস্টবোলার।

ক্লার্কের মতের সমর্থনে একটি যুক্ত হতে পারে এমন- বুমরাহর নেতৃত্বে ফাস্টবোলারদের কারণেই সিডনিতে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৮৫ রান করেও লিড পেয়েছিল ভারত। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ইনজুরির কারণে ডানহাতি এই পেসার খেলতে না পারায় ১৬২ রান তাড়া করে ৬ উইকেটের সহজ জয় তুলে নিতে পেরেছিল অস্ট্রেলিয়া।

ইএসপিএন ‘অ্যারাউন্ড দ্য উইকেট’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্লার্ক বলেন, ‘সিরিজ শেষ হওয়ার পর এবং সিরিজ চলাকালীন বসে বসে একটি জিনিসই চিন্তা করেছি- তা হলো বুমরাহর পারফরম্যান্স। আমি মনে করি সে (বুমরাহ) তিনটি ফরম্যাটেই সেরা ফাস্টবোলার। অনেক দুর্দান্ত ফাস্ট বোলারকে জানি, কার্টলি অ্যামব্রোস, গ্লেন ম্যাকগ্রা, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলতে পারেননি। তাই আমি তাদের কথা বলছি না। তবে যারা তিনটি ফরম্যাটেই খেলেছেন তাদের সম্পর্কে বলতে গেলে আমি মনে করি, যেকোনো অবস্থাতেই সে (বুমরাহ) সেরা হতে পারে।’

ক্লার্ক মনে করেন, সিডনিতে যদি ভারত ১৮০ রানের লক্ষ্য দিতে পারতো অস্ট্রেলিয়াকে আর বুমরাহ বোলিং করতে পারতেন, তাহলে অস্ট্রেলিয়ার জন্য জয় পাওয়া কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়াতো।

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি ভারতের সম্ভবত ২০ রান কম ছিল (সিডনিতে)। আমি মনে করি ১৮০ রানের লিড আর ভারতীয় দলে বুমরাহ থাকলে মনে হতো ভারত তাদেরই ঘরের মাঠে খেলছে। আমি মনে করি, বুমরাহ খুব ভালো... সে দলের অন্যান্য বোলারদের চেয়ে অনেক ভালো।’

ক্লাকের সমর্থনে একই কথা বলেছেন আরেক সাবেক অসি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চও। তিনি ‘অ্যারাউন্ড দ্য উইকেট’কে বলেন, ‘যদি বুমরাহ শেষ ইনিংসে বোলিং করতো, তাহলে কি অস্ট্রেলিয়া লক্ষ টপকে যেতে পারতো? আমি মনে করি, যেতে পারতো। কিন্তু যেভাবে জিতেছে, তখন সেটি আরও অনেক কঠিন হয়ে যেতো।’

এমএইচ/জিকেএস

Read Entire Article