স্ত্রীকে ঘরে রেখে নামাজে গিয়েছিলেন স্বামী, এসে দেখেন গলাকাটা মরদেহ

10 hours ago 8

স্ত্রীকে ঘরে রেখে তারাবির নামাজে গিয়েছিলেন স্বামী। নামাজ শেষে ঘরে প্রবেশ করে দেখেন খাটের ওপর স্ত্রীর গলাকাটা নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকার মসজিদের মাইকে ডাকাত ঢুকেছে বলে মাইকিং করা হয়। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার ছয়গাঁও ইউনিয়নের বাড়িজঙ্গল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মুক্তা বেগম (৫৫) বাড়িজঙ্গল গ্রামের মান্নান গাজীর স্ত্রী।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তারাবির নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্য স্ত্রী মুক্তা বেগমকে ঘরে রেখে মসজিদে গিয়েছিলেন স্বামী মান্নান গাজী। যাওয়ার সময় তিনি বাইরে থেকে ঘরের প্রধান ফটক আটকে যান। নামাজ শেষে ঘরের প্রধান ফটক খুলে ভেতরে প্রবেশ করতেই মান্নান গাজী দেখতে পান তার স্ত্রী মুক্তা বেগমের গলাকাটা মরদেহ খাটের ওপর পড়ে রয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভেদরগঞ্জ থানা পুলিশ।


বিষয়টি নিয়ে আমজাদ হোসেন নামে স্থানীয় একজন বলেন, মসজিদের মাইকের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলের কাছাকাছি যাই। কিন্তু ততক্ষণে পুলিশ পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে। শুনতে পেয়েছি, মান্নান গাজী তার স্ত্রীকে ঘরে রেখে নামাজে গিয়েছিলেন, এসে দেখতে পান তার স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহ। মান্নান গাজীর এক ছেলে প্রবাসী। 

এদিকে নিহত মুক্তা বেগমের স্বামী মান্নান গাজীর আহাজারিতে আকাশ-বাতাস কম্পিত। এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি কাঁদতে থাকেন। কোনো মন্তব্য করেননি।  


বিষয়টি নিয়ে ভেদরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ হাসান সেলিম কালবেলাকে বলেন, ঘটনাস্থলে এক নারীর গলাকাটা মরদেহ পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন। পুলিশের অন্যান্য ইউনিট আসছে। এলাকায় যে ডাকাতির ঘটনা বলে প্রচার চলছে, সেটা এখনও আমরা নিশ্চিত নই। তদন্ত শেষে ঘটনার বিস্তারিত বলা যাবে।

Read Entire Article