স্ত্রীকে ‘বোন’ ডাকলে কি বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাবে?

4 weeks ago 15

স্ত্রীকে বোন বলে ডাকা বা স্বামীকে ভাই বলে সম্বোধন করা মাকরুহ। হাদিসে এভাবে সম্বোধান করতে নবিজি (সা.) নিষেধ করেছেন। আবু তমিমা আল জুহামী (রা.) বলেন,

أَنَّ رَجُلًا قَالَ لِامْرَأَتِهِ يَا أُخَيَّةُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُخْتُكَ هِيَ فَكَرِهَ ذَلِكَ وَنَهَى عَنْهُ

এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে বললো, হে আমার বোন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, সে কি তোমার বোন? তিনি তার এ রকম সম্বোধনরকে অপছন্দ করলেন এবং এ রকম সম্বোধন করতে নিষেধ করলেন। (সুনানে আবু দাউদ: ২২০৪)

এ হাদিসের আলোকে ফকিহরা বলেছেন, স্ত্রীকে ‘বোন’ বলে সম্বোধন করা মাকরুহ। (আদ্দুররুল মুখতার: ৩/৪৭০)

তাই স্বামী স্ত্রীকে বোন, আপু ইত্যাদি বলে সম্বোধান করা থেকে বিরত থাকবে, স্ত্রীও স্বামীকে ভাই, ভাইয়া ইত্যাদি সম্বোধন করা থেকে বিরত থাকবে।

তবে কেউ যদি স্ত্রীকে বোন বা আপু বলে ডাকে, তাহলে তাদের বৈবাহিক সম্পর্কের কোনো ক্ষতি হবে না।

স্বামী-স্ত্রী পরস্পরকে এমন শব্দ বা নামে ডাকা সমীচীন যা থেকে স্বাভাবিক সম্মান ও ভালোবাসা প্রকাশ পায়, অসম্মান প্রকাশ না পায়। তারা পরস্পরকে সন্তানদের নামের সাথে সম্পৃক্ত করে ডাকতে পারে। নাম ধরেও ডাকতে পারে যদি তা তাদের সংস্কৃতিতে অপমানসূচক না হয় এবং কেউ অপমান বোধ না করে।

আরবের সংস্কৃতিতে স্ত্রীকে ও স্বামীকে নাম ধরে বা সন্তানের নামের সাথে সম্পৃক্ত করে ডাকার প্রচলন ছিল। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, যখন আল্লাহর রাসুল ইবরাহিম (আ.) তার স্ত্রী হাজেরা এবং শিশু পুত্র ইসমাইলকে মক্কার জনমানবহীন প্রান্তরে রেখে চলে যাচ্ছিলেন, তখন পেছন থেকে তার স্ত্রী তাকে ডেকে বললেন, হে ইবরাহিম, তুমি আমাদের এমন জনমানবহীন উপত্যকায় রেখে কোথায় যাচ্ছ? (সহিহ বুখারি: ৩৩৬৫)

তবে কোনো অঞ্চলের সামাজিক সংস্কৃতিতে স্বামীর নাম ধরে ডাকা সম্মানজনক না হলে এবং স্বামী পছন্দ না করলে নাম ধরে ডাকা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং কোনো সম্মানজনক শব্দে তাকে ডাকতে হবে।

ওএফএফ/এমএস

Read Entire Article