স্ত্রীসহ দুদকের জালে ইউএনও অফিসের সাবেক কর্মচারী

3 months ago 31

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সাবেক অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মিহির কুমার ঘোষের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় তার স্ত্রী শিল্পী রানী ঘোষকেও আসামি করা হয়েছে।

বুধবার (৩ জুলাই) দুদকের সহকারী পরিচালক ইমরান খান বাদী হয়ে সংস্থাটির জেলা কার্যালয় কুমিল্লায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় এ দম্পতির বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

এজাহারে বলা হয়, আসামি শিল্পী রানী ঘোষের ২০১০-১১ সালে (আয়কর নথি খোলার ভিত্তি বছরে) আয়কর নথির সাথে সংযুক্ত রেকর্ডপত্রে ব্যবসা থেকে উত্তোলন ২৮ লাখ ৬৩ হাজার টাকা মর্মে উল্লেখ করেন। তবে দুদকের অনুসন্ধান তার ব্যবসা সংক্রান্ত কোনো গ্রহণযোগ্য কোনো রেকর্ডপত্র পাওয়া যায়নি কিংবা তিনি তা দেখাতে পারেননি। এছাড়া তার নামীয় বা তার ব্যবসার আয়-ব্যয়ের হিসাব পত্র, কর্মচারীর তথ্য, ফার্মের অস্তিত্ব, ক্যাশ রেজিস্টার ও ব্যবসা সংক্রান্ত কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই।

এই আসামির ২০১০-১১ সালের আয়কর নথি পর্যালোচনায় দেখা যায়, তিনি ওই আয়বর্ষে ব্যবসা হতে আয় দেখিয়েছেন ৫ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। অথচ ওই সম সময়ে ব্যবসার পুঁজি দেখিয়েছেন মাত্র ২ হাজার টাকা। এতে প্রতীয়মান হয় যে, আয়কর নথি খোলার পূর্বে তার নামে কোন প্রকার ব্যবসা ছিল না। আসামি তার স্বামী মিহির কুমার ঘোষের অবৈধ পন্থায় উপার্জিত অর্থ দিয়ে তিনি ওই বছর ৫ তলাবিশিষ্ট বাড়ি নির্মাণ করেন।

আসামি শিল্পী রানী কর্তৃক দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৬৩ লাখ ৫০ হাজার ৩৫৮ টাকার সম্পদের ঘোষণা করেন। কিন্তু যাচাই এই সম্পদের বিপরীতে বৈধ আয় পাওয়া যায় ৩৪ লাখ ৭৫ হাজার ৮১৯ টাকা। এক্ষেত্রে তার জ্ঞাত-আয়ের সঙ্গে সম্পদের তারতম্য পরিলক্ষিত হয়। ফলে তার জ্ঞত-আয় বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৮ লাখ ৭৪ হাজার ৫৩৯ টাকা।

ঘুস ও দুর্নীতির মাধ্যমে স্বামীর অবৈধ আয় বৈধ করতে শিল্পী রানী সহায়তা করেন বলেও এজাহারে বলা হয়।

এসএম/এমকেআর/এমএস

Read Entire Article