কোটি টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের মামলায় পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ড. শামসুদ্দোহা খন্দকার ও তার স্ত্রী ফেরদৌসী সুলতানার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ড. শামসুদ্দোহা বিআইডব্লিউটিএ’রও সাবেক চেয়ারম্যান।
এ মামলায় মঙ্গলবার (২ জুলাই) আদালতে পৃথক চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলম। সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, ড. শামসুদ্দোহা ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ গড়েন। অন্যদিকে স্বামীর সম্পদে সম্পদশালী হন স্ত্রী। দুজনের বিরুদ্ধে পৃথক চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
প্রথম চার্জশিটে ড. শামছুদ্দোহার বিরুদ্ধে ৮ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ২২১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনসহ ২ কোটি ৮৭ লাখ ৩ হাজার ৩৭৮ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকে সন্দেহজনক তথা অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়ায় গেছে।
তার বিরুদ্ধে দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারাসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
অন্য এজাহারে ফেরদৌসী সুলতানা ও ড. শামছুদ্দোহার বিরুদ্ধে ২৮ কোটি ৪৭ লাখ ৩ হাজার ৮৯১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনসহ ২৭ কোটি ৪৮ লাখ ৮২ হাজার ৪৯১ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
ফেরদৌসী সুলতানা পেশায় গৃহিনী হয়েও বিভিন্ন ব্যাংকে তার সন্দেহজনক তথা অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারাসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
এসএম/এমকেআর/এমএস