স্ত্রীসহ সাবেক মন্ত্রী মহিউদ্দিনের ৩৩ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও চাঁদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন খান আলমগীর ও তার স্ত্রী সিতারা আলমগীরের নামে থাকা ৩৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পর মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. সাব্বির ফয়েজ এই আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রিয়াজ হোসেন। এদিন দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ ব্যাংক হিসাবগুলো অবরুদ্ধের আবেদন আদালতে দাখিল করেন। আবেদনে বলা হয়, আসামিরা তাদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব থেকে অর্থ উত্তোলন করে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। একই সঙ্গে এসব হিসাব ব্যবহার করে অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ পাচারের সম্ভাবনাও রয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে হিসাবগুলো অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন বলে আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়। গত ১২ নভেম্বর মহিউদ্দিন খান আলমগীর ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং এবং দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করে দুদক। মামলার নথিতে বলা হয়েছে, তারা ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থের উৎস, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গোপন করতে দীর্ঘদিন ধরে
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও চাঁদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন খান আলমগীর ও তার স্ত্রী সিতারা আলমগীরের নামে থাকা ৩৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পর মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. সাব্বির ফয়েজ এই আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রিয়াজ হোসেন।
এদিন দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ ব্যাংক হিসাবগুলো অবরুদ্ধের আবেদন আদালতে দাখিল করেন। আবেদনে বলা হয়, আসামিরা তাদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব থেকে অর্থ উত্তোলন করে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। একই সঙ্গে এসব হিসাব ব্যবহার করে অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ পাচারের সম্ভাবনাও রয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে হিসাবগুলো অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন বলে আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়।
গত ১২ নভেম্বর মহিউদ্দিন খান আলমগীর ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং এবং দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করে দুদক। মামলার নথিতে বলা হয়েছে, তারা ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থের উৎস, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গোপন করতে দীর্ঘদিন ধরে জটিল আর্থিক লেনদেনের পথ অবলম্বন করেছেন।
২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পদ্মা ব্যাংক (সাবেক ফারমার্স ব্যাংক), যমুনা, আইএফআইসি ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংকের মোট ৭৯টি হিসাবে ২১৬ কোটি ১ লাখ ৬৩ হাজার টাকা ও ৬১৮৮ দশমিক ৫৯ মার্কিন ডলার জমা করেন তারা। একই সময়ে উত্তোলন করা হয় ২০৯ কোটি ১৭ লাখ ৬৩ হাজার টাকা ও ৬০০০ দশমিক শূন্য ২ মার্কিন ডলার।
দুদকের অভিযোগ অনুযায়ী, দেশি-বিদেশি মুদ্রা বিভিন্ন হিসাবে স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে তারা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধের সঙ্গে জড়িত।
সবদিক বিবেচনায় নিয়ে তদন্তের স্বার্থে ৩৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দেন আদালত।
এমডিএএ/এএমএ/এএসএম
What's Your Reaction?