স্নিকো প্রযুক্তির ত্রুটিতে বেঁচে গেলেন ক্যারি

অ্যাশেজ সিরিজের তৃতীয় টেস্টের প্রথম দিনে অস্ট্রেলিয়ান উইকেটকিপার-ব্যাটার অ্যালেক্স ক্যারির বিতর্কিত ‘নট আউট’ সিদ্ধান্তের পেছনে ছিল প্রযুক্তিগত মানবিক ভুল। স্নিকো (Snicko) প্রযুক্তি পরিচালনাকারী অপারেটরের ভুল ফ্রেম নির্বাচনের কারণেই ইংল্যান্ড একটি নিশ্চিত উইকেট থেকে বঞ্চিত হয়—এমনটাই স্বীকার করেছে সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। অ্যাডিলেড ওভালে ম্যাচের সময় ইংল্যান্ডের পেসার জশ টাংয়ের বলে ক্যারি স্পষ্টভাবে এজ করেছিলেন বলে পরে নিজেই স্বীকার করেন। বলটি গ্লাভসে ধরা পড়লেও মাঠের আম্পায়ার আউট দেননি। ইংল্যান্ড রিভিউ নিলেও টিভি আম্পায়ার সেটি বাতিল করেন, কারণ স্নিকোতে দেখা শব্দের স্পাইক ব্যাটে বল লাগার সময়ের সঙ্গে মিলছিল না। পরে জানা যায়, স্নিকোর অডিও নেওয়া হয়েছিল ভুল স্টাম্প মাইক থেকে। ব্যাটসম্যান প্রান্তের বদলে বোলার প্রান্তের মাইকের শব্দ ব্যবহারের ফলে ভিডিও ও অডিওর মধ্যে গরমিল তৈরি হয়। এর ফলেই ক্যারিকে নট আউট ঘোষণা করা হয়। স্নিকোর মালিকানা প্রতিষ্ঠান বিবিজি স্পোর্টস বিষয়টি স্বীকার করে জানিয়েছে, “ক্যারি নিজেই বলেছে যে সে বলটিতে এজ করেছিল। সেক্ষেত্রে একমাত্র ব্যাখ্যা হলো, সংশ্লিষ্ট

স্নিকো প্রযুক্তির ত্রুটিতে বেঁচে গেলেন ক্যারি

অ্যাশেজ সিরিজের তৃতীয় টেস্টের প্রথম দিনে অস্ট্রেলিয়ান উইকেটকিপার-ব্যাটার অ্যালেক্স ক্যারির বিতর্কিত ‘নট আউট’ সিদ্ধান্তের পেছনে ছিল প্রযুক্তিগত মানবিক ভুল। স্নিকো (Snicko) প্রযুক্তি পরিচালনাকারী অপারেটরের ভুল ফ্রেম নির্বাচনের কারণেই ইংল্যান্ড একটি নিশ্চিত উইকেট থেকে বঞ্চিত হয়—এমনটাই স্বীকার করেছে সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান।

অ্যাডিলেড ওভালে ম্যাচের সময় ইংল্যান্ডের পেসার জশ টাংয়ের বলে ক্যারি স্পষ্টভাবে এজ করেছিলেন বলে পরে নিজেই স্বীকার করেন। বলটি গ্লাভসে ধরা পড়লেও মাঠের আম্পায়ার আউট দেননি। ইংল্যান্ড রিভিউ নিলেও টিভি আম্পায়ার সেটি বাতিল করেন, কারণ স্নিকোতে দেখা শব্দের স্পাইক ব্যাটে বল লাগার সময়ের সঙ্গে মিলছিল না।

পরে জানা যায়, স্নিকোর অডিও নেওয়া হয়েছিল ভুল স্টাম্প মাইক থেকে। ব্যাটসম্যান প্রান্তের বদলে বোলার প্রান্তের মাইকের শব্দ ব্যবহারের ফলে ভিডিও ও অডিওর মধ্যে গরমিল তৈরি হয়। এর ফলেই ক্যারিকে নট আউট ঘোষণা করা হয়।

স্নিকোর মালিকানা প্রতিষ্ঠান বিবিজি স্পোর্টস বিষয়টি স্বীকার করে জানিয়েছে, “ক্যারি নিজেই বলেছে যে সে বলটিতে এজ করেছিল। সেক্ষেত্রে একমাত্র ব্যাখ্যা হলো, সংশ্লিষ্ট সময়ে স্নিকো অপারেটর ভুল স্টাম্প মাইক নির্বাচন করেছিলেন। এই ত্রুটির সম্পূর্ণ দায় আমরা নিচ্ছি।”

এই সিদ্ধান্তে জীবন পেয়ে ক্যারি পরে ইনিংসটি বড় করেন এবং ৭২ রানে থাকা অবস্থায় বেঁচে গিয়ে শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরি তুলে নেন। তার ১০৬ রানের ইনিংসে ভর করে অস্ট্রেলিয়া দিন শেষ করে ৮ উইকেটে ৩২৬ রানে।

ঘটনাটি নিয়ে ইংল্যান্ড শিবির অসন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং ম্যাচ রেফারির সঙ্গে বিষয়টি উত্থাপন করেছে। ইংল্যান্ডের বোলিং পরামর্শক ডেভিড সেকার বলেন, “পুরো সিরিজ জুড়েই স্নিকো নিয়ে উদ্বেগ আছে। দিনের খেলা শেষে এসব নিয়ে কথা বলতে হওয়াটাই হতাশাজনক।”

ক্যারিও স্বীকার করেছেন ভাগ্যের সহায়তার কথা। তিনি বলেন, “বল ব্যাটের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় একটা শব্দ পেয়েছিলাম। যদি আউট দেওয়া হতো, আমিও হয়তো রিভিউ নিতাম।”

উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ায় ব্যবহৃত স্নিকো প্রযুক্তি যুক্তরাজ্যে ব্যবহৃত আলট্রাএজ থেকে ভিন্ন। ফলে দেশভেদে প্রযুক্তিগত পার্থক্যের কারণে এমন বিতর্ক মাঝেমধ্যেই দেখা যাচ্ছে।

সব মিলিয়ে, প্রযুক্তিনির্ভর ক্রিকেটে মানবিক ভুল যে এখনো বড় প্রভাব ফেলতে পারে, ক্যারির এই ‘রিপ্রিভ’ তারই সাম্প্রতিক উদাহরণ।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow