বৈরী আবহাওয়ায় নৌকা নিয়ে সেন্টমার্টিনে ভেসে আসা বিজিপির দুই সদস্য ও নারী-পুরুষ-শিশুসহ মিয়ানমারের ৩৩ নাগরিক স্বদেশে ফিরে গেছেন।
শুক্রবার (৫ জুলাই) ভোরে মিয়ানমারের রাখাইনের মংডু থেকে সাগরপথে অন্য শহর সিটএয়ে ও আকিয়াবে যাওয়ার সময় বৈরী আবহাওয়ায় নৌযানের ইঞ্জিন বিকল হয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপে পৌঁছায়। সেখানে বিজিবি তাদের হেফাজতে নেয়। পরে নৌযানের ইঞ্জিন সচল হলে একই দিন বিকেল ৫টার দিকে বিজিপির দুই সদস্যসহ মিয়ানমারের ৩৩ জন নাগরিক স্বদেশে ফিরে যান বলে নিশ্চিত করেছেন সেন্টমার্টিন দ্বীপে দায়িত্বরত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সুবেদার সানোয়ার হোসেন।
সূত্র জানায়, মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান সংঘাত থেকে বাঁচতে নৌযানে করে সাগর পথে অন্য শহরে যাচ্ছিল বিজিপি সদস্যসহ ৩৩ জন। সাগর উত্তাল থাকায় ঢেউয়ের কবলে পড়ে নৌযানটির ইঞ্জিন বিকল হলে ভাসতে ভাসতে সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভেড়ে। পরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা বিজিপির দুই সদস্যকে নিরস্ত্র করে তাদের সঙ্গে আসা রোহিঙ্গাদেরও হেফাজতে নেয়।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, রাখাইনের মংডু শহরে সংঘর্ষে ফায়ার করা মর্টারশেলের বিস্ফোরণে নতুন করে সপ্তাহ জুড়ে কাঁপছে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত। এর মাঝে ভারী বৃষ্টিও হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রাণ বাঁচাতে শুক্রবার ভোরে ৩৩ জন বোঝাই একটি ট্রলার মংডু থেকে ভেসে সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভেড়ে। ওই ট্রলারে যাত্রীদের মাঝে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) দুজন সশস্ত্র সদস্য ও ৩১ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু ছিল। বিষয়টি বিজিবি সদস্যরা জানার পর ৩৩ মিয়ানমার নাগরিককে তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী জানান, মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর দুই সদস্যসহ মিয়ানমারের ৩৩ নাগরিক বোঝাই একটি ট্রলার সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভিড়েছে শুনেছি। পরে তারা বিকেলে মিয়ানমারে ফেরত গেছে বলেও জেনেছি। মিয়ানমারের সংঘাতময় পরিস্থিতিতে নতুন করে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্ত ও নাফ নদীতে বিজিবি ও কোস্ট গার্ড সদস্যদের অবস্থান জোরদার রয়েছে।
সায়ীদ আলমগীর/এফএ/এএসএম