ঋতু বদলের সময় অনেকেই সর্দি-কাশি, জ্বরসহ নানা অসুস্থতায় ভোগেন। এ সময় অনেকেই প্রতিরোধের উপায় হিসেবে হলুদ চা বা হলুদ দুধ পান করেন। হলুদ শুধু রান্নার স্বাদ ও রং বাড়ায় না, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।
এতে থাকা কারকিউমিন নামের উপাদান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি হিসেবে কাজ করে, যা শরীরকে ভেতর থেকে রক্ষা করে।
হলুদ খাওয়ার প্রচলিত দুটি উপায় হলো হলুদের চা এবং হলুদ মেশানো দুধ। হলুদের চা তৈরি হয় পানি ফুটিয়ে কাঁচা হলুদ বা হলুদের গুঁড়া দিয়ে, সঙ্গে আদা, দারুচিনি বা মধু যোগ করা হয়। এই পানীয় শরীর ডিটক্স করতে সাহায্য করে, হজমশক্তি বাড়ায় এবং ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

অন্যদিকে হালকা গরম দুধে সামান্য হলুদ, গোলমরিচ গুঁড়া ও মধু মিশিয়ে তৈরি হয় হলুদের দুধ। এতে দুধের ক্যালসিয়াম ও প্রোটিনের সঙ্গে হলুদের গুণ একসঙ্গে কাজ করে, যা হাড় মজবুত করে, প্রদাহ কমায়, সর্দি-কাশি বা ঠান্ডা লাগা থেকে দ্রুত দূর করে ঘুম ভালো হতে সাহায্য করে।
তাই কোনটি ভালো তা নির্ভর করে শরীরের প্রয়োজনের উপর, ডিটক্স ও হজমের জন্য হলুদের চা উপকারী, রোগপ্রতিরোধ ও হাড়ের যত্নে হলুদের দুধ কার্যকর।
দুটিই উপকারী, শুধু মাত্রা ও প্রয়োজন বুঝে পান করলেই ভালো ফল পাওয়া যায়।
হলুদ চা খেলে কী উপকার পাওয়া যায়
হলুদের চা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে ও লিভারের কার্যকারিতা সচল রাখতে সাহায্য করে। এটি একটি প্রাকৃতিক ডিটক্স পানীয়, যা শরীরে জমে থাকা ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে। হজমের উন্নতি ঘটায়, পেটের গ্যাস বা অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভূমিকা রাখে।
প্রদাহ কমাতে, ঠান্ডা-কাশি বা হালকা জ্বরের সময়ও এটি আরাম দেয়। যারা সুস্থ থাকতে চান, সকালে খালি পেটে বা রাতে ঘুমানো আগে এক কাপ হলুদের চা পান করলে শরীরের জন্য উপকারী হতে পারে।
হলুদ মেশানো দুধ স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপযোগী
হলুদ মেশানো দুধ অনেক পুরোনো প্রথা। জ্বর, সর্দি বা কাশি হলে অনেকেই এটি পান করা হয়। দুধের ফ্যাট কারকিউমিন নামের উপাদানকে শরীরে ভালোভাবে দ্রবীভূত হতে সাহায্য করে, ফলে এটি কার্যকর হয়।
হলুদ মেশানো দুধ পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, শরীরে প্রদাহ কমে এবং গাঁটের ব্যথা কমতে সাহায্য করে। এছাড়া এটি অনিদ্রার সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে।

কোন পানীয় কখন খাবেন?
দিনের শুরুতে হলুদের চা পান করলে মেটাবলিজম ভালো থাক, ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং লিভারের জন্যও উপকারী। রাতে ঘুমানোর আগে হলুদ মেশানো দুধ খেলে ঘুম ভালো হয় এবং শরীরের বিভিন্ন সমস্যা এড়ানো যায়। তবে দুধে অ্যালার্জি থাকলে হলুদ মেশানো দুধ না খাওয়াই ভালো।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, হেলথলাইন
আরও পড়ুন:
ঘুমানোর আগে ধূমপানে বাড়ছে অনিদ্রা ও হৃদরোগের ঝুঁকি
ডেঙ্গু নাকি চিকুনগুনিয়া, কীভাবে বুঝবেন
এসএকেওয়াই/জিকেএস

2 hours ago
4









English (US) ·