কুমিল্লার লালমাই উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ফরহাদ উদ্দিনের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিলে হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক দলের অন্তত ১০ জন নেতাকর্মী আহতের খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার (৯ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার ভুশ্চি বাজারের ছোট শরীফপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সভার পাশে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক ও লালমাই উপজেলার আহ্বায়ক প্রার্থী মনিরুল হক, জেলা শাখার সাবেক সহ-অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা সদস্যসচিব প্রার্থী মো. মামুন, সদর দক্ষিণ উপজেলার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জহিরুল ইসলাম মাসুদ, পেরুল উত্তর ইউনিয়নের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. রাসেল, স্বেচ্ছাসেবক দল কর্মী নাছির উদ্দিন, তোফায়েল আহমেদ রুবেল, ফজলে রাব্বি, সৈকত, খোরশেদ ও সাব্বির হোসেন।
আহতদের পাশের লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত ৪ জনকে লাকসামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লালমাই উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক প্রার্থী মনিরুল হক বলেন, আমরা ৩ শতাধিক নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে কর্মী সভাস্থলে পৌঁছালে লালমাই উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ফরহাদ উদ্দিন ভাই স্লোগান থামাতে বলেন। আমি ভাইয়ের কাছে মিছিলের ফিনিশিং দিতে একটু সময় চাইলাম। তখনই ফরহাদ ভাই ক্ষিপ্ত হয়ে বলতে থাকেন আমি নিষেধ করার পরও স্লোগান চলবে, এতো সাহস কীভাবে হয়? এরপর কিছু বুঝে উঠার আগেই ফরহাদ ভাইয়ের নেতৃত্বে যুবদল কর্মী মোশারফসহ ১০-১৫ জন যুবক আমাদের ওপর হামলা করে। পরে আমরা স্কুল মাঠ থেকে হরিশ্চরমুখী পাকা সড়কে চলে গেলে সেখানে দ্বিতীয় দফায় জয়েন্ট পাইপ ও লাঠি দিয়ে আমাদের বেধড়ক মারধর করা হয়। এতে আমিসহ আমাদের অন্তত ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছি। আমরা এই হামলার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত লালমাই উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ফরহাদ উদ্দিন বলেন, অনুষ্ঠান চলাকালীন আমি তাদের স্লোগান দিতে নিষেধ করেছি। পরে তারা বাইরে গিয়ে কার সঙ্গে মারামারি করেছে আমার জানা নেই।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব আনোয়ার হোসেন বলেন, সারাদিন বুড়িচং উপজেলায় একটি অনুষ্ঠানের ছিলাম। হামলার বিষয়টি আপনার (প্রতিবেদক) মাধ্যমে জেনেছি। খোঁজখবর দিয়ে জানাতে পারবো।
এ বিষয়ে জানতে লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সহিদুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জয়নাল আবেদিনের সভাপতিত্বে কর্মী সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ডি জেড এম হাসান বিন শফিক সোহাগ।
অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সহিদুল ইসলাম সোহেল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মজিবুল্লাহ মজিব, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক সৈয়দ মেরাজ হোসেনসহ জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জাহিদ পাটোয়ারী/এমএন/এমএস