সড়ক অবরোধ করে প্রজ্ঞাপন পোড়ালেন শেবামেকের শিক্ষার্থীরা

1 day ago 5

শিক্ষক সংকট নিরসনে টানা চতুর্থ দিনের মতো বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে (শেবামেক) কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। কর্মসূচির চতুর্থ দিনে সড়ক অবরোধসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জারি করা চার শিক্ষক পদায়নের প্রজ্ঞাপন পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। 

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের সামনের সড়ক অবরোধ এবং শেবামেক ক্যাম্পাসে প্রজ্ঞাপন পোড়ানোর কর্মসূচি পালন করা হয়।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে এদিন সকালে মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসের একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে হাসপাতালের সামনের সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন করেন তারা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, কলেজে ৩৩৪ জন শিক্ষকের পদের বিপরীতে ১৪৬টি পদে শিক্ষক রয়েছেন। ৫৬ শতাংশ শিক্ষকের পদ শূন্য। যার ফলে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম বিঘ্ন হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষক সংকট নিরসনের দাবিতে গত সোমবার থেকে কলেজে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করেছেন তারা; কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের দাবি মানা হয়নি।

শিক্ষার্থীরা বলেন, আন্দোলনের মধ্যে গত বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চারজন শিক্ষককে মেডিকেল কলেজে পদায়ন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। যেখানে কোনো সিনিয়র বা অভিজ্ঞ শিক্ষক নেই। অথচ গত কয়েক মাসে এ মেডিকেল কলেজে থাকা অভিজ্ঞ শিক্ষকদের বিনা কারণে বদলি করে অন্যত্র পাঠিয়েছে মন্ত্রণালয়।

শিক্ষার্থী নাঈমুর রহমান বলেন, শিক্ষকদের পদায়নের বিষয়টি শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি প্রহসন হয়ে গেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই প্রজ্ঞাপন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়। এ কারণেই শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনটি বর্জন করেছেন। পাশাপাশি প্রজ্ঞাপন পুড়িয়ে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। দাবি না মানা পর্যন্ত শাটডাউন কর্মসূচি চলবে বলে জানান তিনি।

শেবামেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. ফায়জুল বাশার শিক্ষক সংকটের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গত চার দিন শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরছে না। তারা ক্যাম্পাসে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করে একাডেমিক ভবনের প্রধান দুটি গেটে তালা ঝুলিয়ে ব্যানার টানিয়ে দিয়েছে। ফলে একাডেমিক, প্রশাসনিক এবং রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তিনি বলেন, চারজন শিক্ষক পদায়নের প্রজ্ঞাপন বর্জন করেছে তারা। বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের দাবির পাশাপাশি সংকট নিরসনে যথাসম্ভব চেষ্টা চলছে বলে জানান অধ্যক্ষ।

Read Entire Article