সড়ক দুর্ঘটনায় এক মাসে প্রাণ গেলো ৪৪১ জনের, মোটরসাইকেলেই ১৩৭
চলতি বছরের অক্টোবর মাসে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪৮৬টি। এতে নিহত হয়েছেন ৪৪১ জন ও আহত ১ হাজার ১২৮ জন। নিহতের মধ্যে নারী ৫৭ জন। এর সঙ্গে ৬৩ শিশুও রয়েছে। শতকরা হিসাবে গত সেপ্টেম্বর মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন গড়ে নিহত হয়েছেন ১৩ দশমিক ৯ জন। অক্টোবরে নিহত হন ১৪ দশমিক ৭ জন। এই হিসাবে অক্টোবরে প্রাণহানি বেড়েছে ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ। বুধবার (১৯ নভেম্বর) প্রকাশিত রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টালসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ও নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৩৭ জন, যা মোট নিহতের ৩১ দশমিক ৬ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩৯ দশমিক ৫০ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ৯৮ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২২ দশমিক ২২ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৬২ জন, অর্থাৎ ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ। এই সময়ে ৯টি নৌ-দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত ও চারজন নিখোঁজ রয়েছেন। ৪৬টি রেল ট্র্যাক দুর্ঘটনায় ৪৩ জন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছেন। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলো
চলতি বছরের অক্টোবর মাসে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪৮৬টি। এতে নিহত হয়েছেন ৪৪১ জন ও আহত ১ হাজার ১২৮ জন। নিহতের মধ্যে নারী ৫৭ জন। এর সঙ্গে ৬৩ শিশুও রয়েছে।
শতকরা হিসাবে গত সেপ্টেম্বর মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন গড়ে নিহত হয়েছেন ১৩ দশমিক ৯ জন। অক্টোবরে নিহত হন ১৪ দশমিক ৭ জন। এই হিসাবে অক্টোবরে প্রাণহানি বেড়েছে ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) প্রকাশিত রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টালসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ও নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৩৭ জন, যা মোট নিহতের ৩১ দশমিক ৬ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩৯ দশমিক ৫০ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ৯৮ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২২ দশমিক ২২ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৬২ জন, অর্থাৎ ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ।
এই সময়ে ৯টি নৌ-দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত ও চারজন নিখোঁজ রয়েছেন। ৪৬টি রেল ট্র্যাক দুর্ঘটনায় ৪৩ জন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৬৬টি জাতীয় মহাসড়কে, ১৪৮টি আঞ্চলিক সড়কে, ৮১টি গ্রামীণ সড়কে ও ৮৭টি শহরের সড়কে এবং চারটি অন্যান্য স্থানে হয়েছে।
দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান বলছে, ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১২১টি দুর্ঘটনায় ১১২ জন নিহত হয়েছেন। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ২৬টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত হয়েছেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বলছে, অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটছে অতিরিক্ত গতির কারণে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে। এই গতি নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তির মাধ্যমে নজরদারি ও চালকদের মোটিভেশনাল প্রশিক্ষণ দরকার।
তারা আরও বলেন, যানবাহনের বেপরোয়া গতি ও পথচারীদের অসচেতনতার কারণে পথচারী নিহতের ঘটনা বাড়ছে। সেজন্য সরকারি উদ্যোগে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে জীবনমুখী সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো দরকার।
এফএইচ/এমআইএইচএস/এএসএম
What's Your Reaction?