ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাব পড়ে চাঁদপুর সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের আখনের হাট এলাকায়। এতে সৃষ্ট মেঘনা নদীর ঢেউয়ের কারণে স্থানীয় সড়ক ও আখনের হাট জামে মসজিদের পেছনের অংশ ভেঙে পড়েছে। নদীতে বিলীন হয়েছে গণকবর। বর্তমানে মসজিদ ও এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি খুবই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
সরেজমিন মসজিদ, চলাচলের একমাত্র সড়ক ও গণকবর ভেঙে পড়ার এই দৃশ্য চোখে পড়ে।
মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা আবদুল্লাহ জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে স্থানীয়ভাবে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মসজিদের পশ্চিম অংশে মেঘনা নদীর পাড়া এলাকায় বহু অংশ ভেঙে গেছে। আসন্ন বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি বাড়লে যেকোনো সময় মসজিদটিও নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আখনের হাট জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নেছার আখন্দ জানান, মসজিদের উত্তর পাশ সংলগ্ন আখনের হাটের সঙ্গে সংযুক্ত সড়কটিতে এলাকার পাঁচ হাজার লোকের যাতায়াত। ঝুঁকিপূর্ণ সড়কটির ভাঙন প্রতিরোধ না করা গেলে লোকজনের চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে।
স্থানীয় গ্রামপুলিশ আলমগীর হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড়ে ভাঙনের পরে ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানানো হয়। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চান্দ্রা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খান জাহান আলী কালু পাটোয়ারীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাখাওয়াত জামিল সৈকত বলেন, আখনের হাট এলাকার সড়ক ও মসজিদ এলাকায় ভাঙনের বিষয়টি আমাকে কেউ জানাননি। ভাঙন প্রতিরোধ ও মেরামতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শরীফুল ইসলাম/এসআর/জেআইএম