হঠাৎ স্ত্রীর মরদেহ এনে দাফনের চেষ্টা, বাধা দেওয়ায় পলাতক স্বামী

5 months ago 59

তিন মাস আগে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে কাজের উদ্দেশ্যে ঢাকায় যান আলামিন। সেখানে স্ত্রী জামেলা খাতুন (২৬) বাসায় কাজ করতেন। আলামিন করতেন মাছের ব্যবসা। শনিবার (১ জুন) গভীর রাতে হঠাৎ স্ত্রীর মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফেরেন আলামিন। রোববার সকালে জামেলা খাতুনের স্বজনরা এসে মরদেহ দাফনে বাধা দিলে পালিয়ে যান আলামিনসহ তার স্বজনরা। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের মারওয়াখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই দিন বিকেলে স্বামী আলামিনের বাড়ি থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

আলামিন উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের মারওয়াখালী গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। নিহত জামেলা পার্শ্ববর্তী আঠারবাড়ি ইউনিয়নের মৃগালী গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জুয়েল রানা জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গৃহবধূর মামা ফারুক বলেন, আলামিনের এক বোন মোবাইলে কল করে বলেছিল জামেলা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু জামেলা কি সত্যিই আত্মহত্যা করেছে নাকি তাকে মেরে ফেলা হয়েছে এটা নিয়ে আমাদের সন্দেহ আছে। মরদেহ দাফনে বাধা দেওয়ার পর আলামিন ও তার স্বজনরাও পালিয়ে যায়।

গৃহবধূর ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রায় সাত বছর আগে আলামিনের সঙ্গে আমার বোনের বিয়ে হয়। সংসারে তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। বর্তমানে সে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। বোনজামাই আলামিনের জুয়া খেলার অভ্যাস ছিল। এনিয়ে তাদের (স্বামী-স্ত্রীর) মধ্যে প্রায়শই ঝগড়া হতো। আমাদের সন্দেহ এসব কারণে আমার বোনকে মেরে তাদের বাড়িতে ফেলে রেখে সে ও তার পরিবারের লোকজন পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

এসআই জুয়েল রানা বলেন, গৃহবধূর মরদেহ সুরতহাল প্রস্তুতের সময় গলায় একটি কালো দাগ পাওয়া গেছে। গৃহবধূ জামেলা খাতুনের মৃত্যুর সঠিক সময় এবং ঢাকার কোন জায়গায় থাকতেন তা বলতে পারছেন না কেউ। আলামিনকে আটক করা হলে বিস্তারিত জানা যাবে। ঘটনার স্থান ঢাকায় হওয়ায় মরদেহ ময়মাতদন্ত করা নিয়ে বিপাকে আছি। এছাড়া ঘটনাটি ঢাকায় ঘটেছে। যে কারণে মামলা নেওয়া নিয়েও জটিলতা আছে।

মঞ্জুরুল ইসলাম/এফএ/এমএস

Read Entire Article