হবিগঞ্জ-সিলেট মহাসড়কে এখনোও অপসারণ হয়নি প্রচার সামগ্রী

অনেক প্রার্থী ও তাদের সমর্থকেরা নির্বাচনী আচরণবিধি সংক্রান্ত নোটিশ বা গণবিজ্ঞপ্তি কানে নেননি। বিশেষ করে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপর নির্মিত গেট, তোরণ, ব্যানার, ফেস্টুন, প্রচারপত্র, পোস্টার, দেয়াল লিখন, বিলবোর্ড, প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জা ইত্যাদি এখনও সরানো হয়নি।৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়ে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসন গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে এবং প্রতিটি উপজেলা প্রশাসন আলাদা বিজ্ঞপ্তি প্রদান করে। জাতীয়ভাবে নির্বাচন কমিশন গণবিজ্ঞপ্তি প্রদান করলেও সেই আলোকে মাঠপর্যায়ে কাজ হয়নি।গত ১১ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, "হবিগঞ্জ জেলার সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে তফসিল ঘোষিত হয়েছে। উক্ত নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের পোস্টার, ব্যানার, দেয়াল লিখন, বিলবোর্ড, গেট, তোরণ বা ঘের, প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জা ইত্যাদি প্রচার সামগ্রী ও নির্বাচনী ক্যাম্প থাকলে তা সংশ্লিষ্ট সম্ভাব্য প্রার্থী অথবা ব্যক্তিগণকে তফসিল ঘোষণার পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা অর্থাৎ ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ শনিবার সন্ধ্যা ৬:০০ টার মধ্যে নিজ খরচে/দায়িত্বে অ

হবিগঞ্জ-সিলেট মহাসড়কে এখনোও অপসারণ হয়নি প্রচার সামগ্রী

অনেক প্রার্থী ও তাদের সমর্থকেরা নির্বাচনী আচরণবিধি সংক্রান্ত নোটিশ বা গণবিজ্ঞপ্তি কানে নেননি। বিশেষ করে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপর নির্মিত গেট, তোরণ, ব্যানার, ফেস্টুন, প্রচারপত্র, পোস্টার, দেয়াল লিখন, বিলবোর্ড, প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জা ইত্যাদি এখনও সরানো হয়নি।

৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়ে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসন গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে এবং প্রতিটি উপজেলা প্রশাসন আলাদা বিজ্ঞপ্তি প্রদান করে। জাতীয়ভাবে নির্বাচন কমিশন গণবিজ্ঞপ্তি প্রদান করলেও সেই আলোকে মাঠপর্যায়ে কাজ হয়নি।

গত ১১ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, "হবিগঞ্জ জেলার সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে তফসিল ঘোষিত হয়েছে।

উক্ত নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের পোস্টার, ব্যানার, দেয়াল লিখন, বিলবোর্ড, গেট, তোরণ বা ঘের, প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জা ইত্যাদি প্রচার সামগ্রী ও নির্বাচনী ক্যাম্প থাকলে তা সংশ্লিষ্ট সম্ভাব্য প্রার্থী অথবা ব্যক্তিগণকে তফসিল ঘোষণার পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা অর্থাৎ ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ শনিবার সন্ধ্যা ৬:০০ টার মধ্যে নিজ খরচে/দায়িত্বে অপসারণ করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন। কমিশনের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নকল্পে হবিগঞ্জ জেলার সম্ভাব্য নির্বাচনী প্রার্থীগণের পোস্টার, ব্যানার, দেয়াল লিখন, বিলবোর্ড, গেট, তোরণ বা ঘের, প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জা ইত্যাদি প্রচার সামগ্রী ও নির্বাচনী ক্যাম্প অপসারণের জন্য অনুরোধ করা হলো। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"

উক্ত বিজ্ঞপ্তির সময়সীমা গতকাল সন্ধ্যায় পার হয়ে গেলেও কেউ কর্ণপাত করেননি। বিশেষ করে হবিগঞ্জ-১ আসনের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি কিবরিয়া স্কয়ার হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও জনবসতিপূর্ণ এলাকা। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে এখনো সেখানে নির্বাচনী সামগ্রী বিদ্যমান রয়েছে।

গতকাল রাত ৯টায় সরজমিনে আউশকান্দি কিবরিয়া চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী কেউ তাঁদের প্রচার সামগ্রী বা ব্যবহৃত জিনিসপত্র সরাননি। এখানে উপস্থিত আব্দুস সাত্তার নামে একজন বলেন, "কে শোনে কার কথা, প্রশাসন শুধু গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেনি, তারা বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও পত্রিকায় বিষয়টি প্রচার করেছেন। যারা প্রার্থী হিসাবে এসব প্রচার করেছেন তারাতো সবাই সচেতন লোক, তাঁদের উচিৎ ছিল সরকারের এই আদেশের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা। কারণ তাঁরা হবেন দেশের আইনপ্রণেতা, তাঁরাই যদি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হন তাহলে কি করে জাতি এগিয়ে যাবে আপনি বলুন?"

হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন বলেছেন, "যেসব জায়গায় তোলা হয়নি আমরা নিজেরা অপসারণ করব। আর যারা আদেশ অমান্য করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী পদক্ষেপ নেয়া হবে। বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি।"

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow