হবিগঞ্জে দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত অর্ধশতাধিক

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে পূর্ববিরোধ ও আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে নারীসহ অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল আনুমানিক ৮টা থেকে শুরু করে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত উপজেলার কাকাইলছেও ইউনিয়নের কুমেদপুর এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।  নিহত রাসেল মিয়া (৪৫) কাকাইলছেও কুমেদপুর এলাকার ছুরত মিয়ার ছেলে। আহতরা হলেন—রাব্বি মিয়া (১৮), ছাব্বির (২১), ইন্তাজ আলী (১৬), সেলিম (২৫), বাবলু (৩৫), জিয়াউর (৫০), তকদির (২৮), আলতু মিয়া (১৮), রায়হান (২৮), আশরাফ উদ্দিন( ২৪), মাসুম (২৬), জীবন (২৮) ও আমেনা খাতুন (২৫)।  পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিগত বেশ কিছুদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাকাইলছেও এর কুমেদপুরের হান্নান মিয়ার লোকজন ও সরকার হাটীর আল কোরান সওদাগরের লোকজনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল৷ এরই জেরে সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আল কোরান সওদাগরের লোকজন ও হান্নান মিয়ার লোকজনের মধ্যে কাকাইলছেও বাজারে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয় এবং বেশ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। এরই

হবিগঞ্জে দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত অর্ধশতাধিক
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে পূর্ববিরোধ ও আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে নারীসহ অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল আনুমানিক ৮টা থেকে শুরু করে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত উপজেলার কাকাইলছেও ইউনিয়নের কুমেদপুর এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।  নিহত রাসেল মিয়া (৪৫) কাকাইলছেও কুমেদপুর এলাকার ছুরত মিয়ার ছেলে। আহতরা হলেন—রাব্বি মিয়া (১৮), ছাব্বির (২১), ইন্তাজ আলী (১৬), সেলিম (২৫), বাবলু (৩৫), জিয়াউর (৫০), তকদির (২৮), আলতু মিয়া (১৮), রায়হান (২৮), আশরাফ উদ্দিন( ২৪), মাসুম (২৬), জীবন (২৮) ও আমেনা খাতুন (২৫)।  পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিগত বেশ কিছুদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাকাইলছেও এর কুমেদপুরের হান্নান মিয়ার লোকজন ও সরকার হাটীর আল কোরান সওদাগরের লোকজনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল৷ এরই জেরে সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আল কোরান সওদাগরের লোকজন ও হান্নান মিয়ার লোকজনের মধ্যে কাকাইলছেও বাজারে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয় এবং বেশ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। এরই জেরে উভয়পক্ষের লোকজন মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ৮টায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে রাসেল মিয়া গুরুতর আহত হলে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক অভিজিৎ পাল বলেন, রাসেল মিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত অবস্থায় পায়। লাশের ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।  এ বিষয়ে আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকবর হোসেন কালবেলাকে বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।   

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow