হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত, বালু তুলতে পারবেন না সেলিম খানের মেয়ে

চাঁদপুরের তিনটি মৌজা থেকে সেলিম খানের মেয়ে সেলিনা বেগমকে বালু তোলায় বাধা না দিতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিতই রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। এর ফলে বালু তুলতে পারবেন না মেসার্স নিপা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী সেলিনা বেগম।

মেসার্স নিপা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী সেলিনা বেগমের পক্ষে সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৪ জুন) আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেন। এই আবেদনের ওপর বুধবার (৫জুন) আবারও শুনানি হবে বলে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মঈনুল হাসান।

আদালতে এদিন মেসার্স নিপা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী সেলিনা বেগমের পক্ষে সময় আবেদনের আর্জি জানান, অ্যাডভোকেট মধু মালতি (অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড)। আর রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ এএম আমিন উদ্দিন ও ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মঈনুল হাসান।

এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান জাগো নিউজকে আরও জানান, চাঁদপুর সদর উপজেলার তিনটি মৌজায় অবস্থিত মেঘনা নদী থেকে চিহ্নিত জায়গা বালু তোলার জন্য সেলিনা বেগমকে বুঝিয়ে দিতে এবং সেখান থেকে বালু উত্তোলনে তাকে বাধা না দিতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে আজ শুনানির জন্য বুধবার দিন ঠিক করেছেন চেম্বার জজ আদালত। ফলে সেলিনা বেগম তিন মৌজা থেকে বালু তোলতে পারবেন না। চেম্বার আদালতে আবেদনের ওপর আবারো শুনানি হবে।’ আর আগামীকাল পর্যন্ত ওই প্রতিষ্ঠান বালু তোলতে পারবে না।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর দেওয়া তথ্যে জানানো হয়েছে, মেসার্স নিপা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০ নম্বর লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সেলিম খানের মেয়ে সেলিনা বেগম। চাঁদপুর সদর উপজেলার চরজগন্নাথপুর, লগীমারা ও থাকচর লগীমারা এ তিন মৌজায় হাইড্রোগ্রাফিক জরিপের মাধ্যমে বালু মহাল হিসেবে ঘোষণার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে চলতি বছর রিট করেন সেলিনা বেগম।

প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১৬ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। পরবর্তী সময়ে রিট আবেদনকারীর করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৪ এপ্রিল হাইকোর্ট নির্দেশসহ আদেশ দেন। আদেশে হাইড্রোগ্রাফিক জরিপে উল্লিখিত এলাকাগুলো সেলিনা বেগমকে বালু উত্তোলনের জন্য সাত দিনের মধ্যে বুঝিয়ে দিতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

উল্লিখিত জায়গায় বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়া থেকে বিরত থাকতে বিবাদীদের প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।হাইকোর্টের এ আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে, যা রোববার (২ জুন) চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে।

তারপর সোমবার (৩ জুন) শুনানির কথা থাকলেও সেটি শুনানি হয়নি। এদিন বিশেষ চেম্বার জজ আদালত বসলে সময় আবেদন করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় সেটি শুনানির জন্য রয়েছে।

এফএইচ/এমআইএইচএস/এমএস