হাতকড়া ভেঙে পালাল হত্যা মামলার আসামি

3 months ago 56

যশোর জজ আদালতের হাজতখানা পুলিশের কাছ থেকে হাতকড়া ভেঙে পালিয়ে গেছে হত্যা মামলার এক আসামি। রোববার (১৮ মে) দুপুর ২টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে। 

পলাতক ওই আসামির নাম জুয়েল খান মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার রামপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর খানের ছেলে। জুয়েল মাগুরার শালিখা উপজেলার হরিশপুর গ্রামের ইজিবাইক চালক আল আমিন হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রধান আসামি। 

গত ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর মাগুরা থেকে আল আমিনের ইজিবাইক ভাড়া করে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বুধোপুর গ্রামে এনে তাকে হত্যা করে এবং ইজিবাইক নিয়ে চম্পট দেয় জুয়েলসহ তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় বাঘারপাড়া থানায় মামলা হয়। ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর র‌্যাব-৬ খুলনার স্পেশাল টিম জুয়েলসহ মামলার চার আসামিকে আটক করে এবং তারা হত্যার ঘটনা স্বীকার করে। পরে তাদের বাঘারপাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়। এরপর থেকেই জুয়েল কারাগারে আটক ছিল।

আদালত ও পুলিশ সূত্র জানায়, এ মামলার শুনানির তারিখ ধার্য ছিল রোববার। সকালে জুয়েল ও হারুন অর রশিদকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এজলাসে তাদের হাজির করা হয়। পরে আদালত তাদের ফের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তখন মহিলা পুলিশ কনস্টেবল সোনালী তাদের দুজনকে নিয়ে হাজতখানায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় নিজ তলার সিঁড়ির কাছে পৌঁছালে কৌশলে জুয়েল খান হাতকড়া ভেঙে পালিয়ে যায়। পরে কনস্টেবল সোনালি চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন তাকে তাড়া করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পলাতকের খবর শুনে তারা পিছু ধাওয়া করেন। এ সময় জুয়েল জজ আদালতের সামনের গেট দিয়ে বের হয়ে মসজিদের সামনে দিয়ে দৌড়ে আইনজীবী সহকারী সমিতির কার্যালয়ের পাশ দিয়ে খড়কির দিকে চলে যায়।

এদিকে, খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) নূর-ই-আলম সিদ্দিকী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) আবুল বাসার, কোতোয়ালি থানার ওসি আবুল হাসনাতসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আদালতে ছুটে যান। একই সঙ্গে পুলিশের একাধিক টিম জুয়েলকে খুঁজতে অভিযানে নামে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট অভিযানে রয়েছে।

এ বিষয়ে কোর্ট ইন্সপেক্টর রোকসানা খাতুন কালবেলাকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জুয়েলকে খোঁজা হচ্ছে। এ ছাড়া ঘটনার সার্বিক বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর ইজিবাইক ভাড়া করে খুনিরা চালক আল আমিনকে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বুধোপুর গ্রামে নিয়ে যায়। এরপর আল-আমিনের হাত-পা বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে তাকে হত্যা করে। পরে টাকা ও ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যায়। পরদিন পুলিশ বুধোপুর থেকে আল-আমিনের লাশ উদ্ধার করে। একই সঙ্গে ইজিবাইকও উদ্ধার করা হয়।

Read Entire Article