হাদি হত্যা: ফয়সালসহ সংশ্লিষ্টদের ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন

জুলাই বিপ্লবের অগ্রনায়ক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্টদের ব্যাংক হিসাবে ১২৭ কোটিরও বেশি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আবু তালেব এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার পর সিআইডি তাৎক্ষণিকভাবে ছায়া তদন্ত শুরু করে। তদন্তের অংশ হিসেবে ঘটনাস্থলে ক্রাইমসিন ইউনিট পাঠানো, সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ, ঘাতকের ব্যবহৃত গুলির খোসা উদ্ধার এবং অন্যান্য আলামত জব্দ করে ফরেনসিক পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়। পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দিক নিবিড়ভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া ব্যাংক হিসাবের তথ্যের ভিত্তিতে মানিলন্ডারিং সংশ্লিষ্ট অনুসন্ধান শুরু করেছে সিআইডি। সিআইডি জানায়, হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান ওরফে রাহুল এখনও গ্রেপ্তার না হলেও মামলার আলামত গ

হাদি হত্যা: ফয়সালসহ সংশ্লিষ্টদের ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন

জুলাই বিপ্লবের অগ্রনায়ক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্টদের ব্যাংক হিসাবে ১২৭ কোটিরও বেশি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

রোববার (২১ ডিসেম্বর) সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আবু তালেব এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার পর সিআইডি তাৎক্ষণিকভাবে ছায়া তদন্ত শুরু করে। তদন্তের অংশ হিসেবে ঘটনাস্থলে ক্রাইমসিন ইউনিট পাঠানো, সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ, ঘাতকের ব্যবহৃত গুলির খোসা উদ্ধার এবং অন্যান্য আলামত জব্দ করে ফরেনসিক পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়। পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দিক নিবিড়ভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া ব্যাংক হিসাবের তথ্যের ভিত্তিতে মানিলন্ডারিং সংশ্লিষ্ট অনুসন্ধান শুরু করেছে সিআইডি।

সিআইডি জানায়, হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান ওরফে রাহুল এখনও গ্রেপ্তার না হলেও মামলার আলামত গোপন এবং তাকে পালাতে সহায়তার অভিযোগে তার পরিবারের সদস্যসহ একাধিক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযানে জব্দ করা বিভিন্ন ব্যাংকের চেকবই বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, অভিযুক্ত ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা একাধিক চেকবইয়ে উল্লেখিত অর্থের পরিমাণ প্রায় ২১৮ কোটি টাকা, যদিও এসব লেনদেন চূড়ান্তভাবে সম্পন্ন হয়নি।

তবে প্রাথমিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, অভিযুক্ত ও তার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে ১২৭ কোটির বেশি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে, যা মানিলন্ডারিং, সংঘবদ্ধ অপরাধ ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমে অর্থায়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারে। এ কারণে মানিলন্ডারিং বিষয়ে পৃথক তদন্ত কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

এছাড়া অভিযুক্ত ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে থাকা প্রায় ৬৫ লাখ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে দ্রুত বাজেয়াপ্ত করার লক্ষ্যে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এসব অর্থের উৎস চিহ্নিত করা এবং হত্যাকাণ্ডের পেছনে কোনো সংঘবদ্ধ বা শক্তিশালী নেটওয়ার্ক জড়িত ছিল কিনা—তা খতিয়ে দেখতেও সিআইডির একাধিক টিম কাজ করছে।

একই সঙ্গে অন্যান্য সংস্থার সহযোগিতায় মূল অভিযুক্ত ফয়সালকে গ্রেপ্তার এবং পুরো অপরাধচক্র উন্মোচনে সিআইডির তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow