হাদির ওপর হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও আসন্ন নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়। প্রেস উইং জানায়, রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, নির্বাচনী পরিবেশে এমন সহিংস হামলা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য এবং দেশের শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক অঙ্গনের জন্য এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। আহত ওসমান হাদীর সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এ ছাড়া চিকিৎসা কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকি করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন। একই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুত ও ব্যাপক তদন্ত চালিয়ে হামলায় জড়িত সবাইকে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও আসন্ন নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস উইং জানায়, রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, নির্বাচনী পরিবেশে এমন সহিংস হামলা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য এবং দেশের শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক অঙ্গনের জন্য এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। আহত ওসমান হাদীর সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এ ছাড়া চিকিৎসা কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকি করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন।
একই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুত ও ব্যাপক তদন্ত চালিয়ে হামলায় জড়িত সবাইকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ, প্রত্যক্ষদর্শীর তথ্য গ্রহণ, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা এবং হামলার পেছনে কোনো সংগঠিত পরিকল্পনা থাকলে তা উন্মোচনের জন্য তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে বলেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশে কোনো ধরনের সহিংসতা বরদাশত করা হবে না। জনগণের নিরাপত্তা এবং প্রার্থীদের অবাধ চলাচল নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। দোষীরা যে-ই হোক, আইনের আওতায় আনা হবে।
তিনি দেশের সকল রাজনৈতিক পক্ষ, কর্মী-সমর্থক এবং নাগরিকদের প্রতি শান্তি ও সংযম বজায় রাখার আহ্বান জানান, যাতে আসন্ন নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও নিরাপদ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হতে পারে।
জানা গেছে, শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানী বিজয়নগরের কালভার্ট এলাকায় অস্ত্রধারীরা তাকে গুলি করে। তাকে উদ্ধার করে ২টা ৩৫ মিনিটে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশের রমনা বিভাগের ডিসি মাসুদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, আমি শুনেছি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তবে কোথায় তা আমরা জানি না।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক। তিনি বলেন, দুপুর আড়াইটার পর পরইই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার বাম কানের নিচে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক (আরএস) ডা. মোশকাত আহমেদ বলেন, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও আসন্ন নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদি গুলিবিদ্ধ হয়ে এখন কোমাতে আছেন। হাদির অবস্থা খুবই গুরুতর। তার মাথায় গুলি লেগেছে।
এর আগে গত ১৩ নভেম্বর হত্যার হুমকি পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন ওসমান হাদী। তার মোবাইল নম্বরে বিদেশি নম্বর থেকে কল করে ও টেক্সট দিয়ে এসব হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। ওইদিন রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে ওসমান হাদী লেখেন, গত তিন ঘণ্টায় আমার নম্বরে লীগের খুনিরা অন্তত ৩০টি বিদেশি নম্বর থেকে কল ও টেক্সট করেছে।
তিনি লেখেন, যার সামারি হলো- আমাকে সর্বক্ষণ নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। তারা আমার বাড়িতে আগুন দেবে। আমার মা, বোন ও স্ত্রীকে ধর্ষণ করবে এবং আমাকে হত্যা করবে।
তিনি আরও লেখেন, ১৭ তারিখ খুনি হাসিনার রায় হবে। ১৪০০ শহীদের রক্তের ঋণ মেটাতে কেবল আমার বাড়ি-ঘর না, যদি আমাকেও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়, ইনসাফের এই লড়াই হতে আমি এক চুলও নড়ব না, ইনশাআল্লাহ।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র লেখেন, এক আবরারকে হত্যার মধ্য দিয়ে হাজারো আবরার জন্মেছে এদেশে। এক হাদীকে হত্যা করা হলে তাওহিদের এই জমিনে আল্লাহ লক্ষ হাদী তৈরি করে দেবেন। স্বাধীনতার এই স্বরকে কোনোদিন রুদ্ধ করা যাবে না। লড়াইয়ের ময়দানে আমি আমার আল্লাহর কাছে আরও সাহস ও শক্তি চাই। আরশওয়ালার কাছে আমি হাসিমুখে শহিদি মৃত্যু চাই।
পরিশেষে হাদী লেখেন, আমার পরিবার ও আমার কলিজার সহযোদ্ধাদের আল্লাহ তায়ালার কুদরতি কদমে সোপর্দ করলাম। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবে। হাসবিয়াল্লাহ।
What's Your Reaction?