হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী  সারা দেশের মতো ময়মনসিংহেও শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে ইনকিলাব মঞ্চ৷ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর টাউন হল মোড়ে সর্বাত্মক অবরোধের ডাক দেয় ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যরা। পরে তারা টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এ সময় শরিফ ওসমান হাদির খুনিরা গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত এই অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। এতে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা ছাড়াও বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। তারা হাদি হত্যার বিচার চেয়ে স্লোগান দেয় বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভ চলাকালে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাহদি হাসান তারেক, ময়মনসিংহ ফোরামের আহ্বায়ক সাঈদ ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাজহারুল ইসলাম, হানজালা রহমান মুন্না, মাহবুবা আক্তার তৃপ্তি, রওনক জাহান আনিসা, মো. রানা, সদস্য হাসনাইন সাকিব, উত্তরণ সাংস্কৃতিক সংসদের পরিচালক ইয়াসিন আরাফাত, শিক্ষার্থী যুবায়ের আলম প্রমুখ। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে মমিনুর রহমান প্লাবন বলেন, প্রশাসনের বক্তব্য ‘আইওয়াশ’

হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী  সারা দেশের মতো ময়মনসিংহেও শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে ইনকিলাব মঞ্চ৷

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর টাউন হল মোড়ে সর্বাত্মক অবরোধের ডাক দেয় ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যরা। পরে তারা টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে।

এ সময় শরিফ ওসমান হাদির খুনিরা গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত এই অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। এতে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা ছাড়াও বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। তারা হাদি হত্যার বিচার চেয়ে স্লোগান দেয় বিক্ষোভকারীরা।

বিক্ষোভ চলাকালে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাহদি হাসান তারেক, ময়মনসিংহ ফোরামের আহ্বায়ক সাঈদ ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাজহারুল ইসলাম, হানজালা রহমান মুন্না, মাহবুবা আক্তার তৃপ্তি, রওনক জাহান আনিসা, মো. রানা, সদস্য হাসনাইন সাকিব, উত্তরণ সাংস্কৃতিক সংসদের পরিচালক ইয়াসিন আরাফাত, শিক্ষার্থী যুবায়ের আলম প্রমুখ।

বিক্ষোভকারীদের মধ্যে মমিনুর রহমান প্লাবন বলেন, প্রশাসনের বক্তব্য ‘আইওয়াশ’ ছাড়া কিছু নয়। তারা সময়ক্ষেপণের চেষ্টা করছে। যেদিন গুলি হয়েছে, সেদিনই জড়িতদের ধরা যেত। কে কাকে চাপ দিচ্ছে, সরকারকে তা জনগণের সামনে প্রকাশ করতে হবে। তারা বলছে কয়েকজনকে ধরা হয়েছে, কিন্তু প্রকৃত খুনিকে অবশ্যই ধরতে হবে।

তিনি বলেন, হাদি ভাইয়ের কথা ছিল সীমান্তে শক্তিশালী করার কথা প্রয়োজনে ঘাস খেয়ে অস্ত্র বানাতে। আমাদের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই, আমরা ন্যায় প্রতিষ্ঠা আন্দোলনের জন্য নমরুদের বিচারিক আদালতে আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়া ইব্রাহিমের (আ.)-এর সন্তান। যত দিন দেহে প্রাণ আছে ততদিন আমাদের এই সাম্য ও ন্যায়ের জন্য আন্দোলন চলবে। শুধু ফয়সাল ও আলমগীর নয়, এ হত্যাকাণ্ডের জড়িত, অর্থযোগানকারী, পরিকল্পনাকারী, সহযোগিতাকারী ও অংশগ্রহণকারী সবাইকে শাস্তি দিতে হবে।

সরকার এ হত্যার বিচারে টালবাহানা করছে বলে অভিযোগ তুলে আগামী তিন দিনের মধ্যে চার্জশিট ও ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার কাজ সম্পন্ন করার হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনকারীরা। পরে বিচারিক কার্যক্রম ত্বরান্বিত না হওয়ার আগ পর্যন্ত রাজপথে থাকার ঘোষণা দেন তারা।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow