‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে চিকিৎসকের আপত্তিকর ভিডিও, নারীসহ গ্রেপ্তার ৪ 

হানি ট্র্যাপের ফাঁদ পেতে এক চিকিৎসককে কৌশলে ডেকে নিয়ে আটকে রেখে মারধর ও তিন লাখ টাকা আদায়ের অভিযোগে নারীসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) ত্রিশাল উপজেলার বীররামপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।  এর আগে, গত বুধবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে ত্রিশাল পৌরসভার উজানপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এতে ৯ জনের নামে থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী চিকিৎসক।  গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—রবিউল মোল্লা, সোনালী আক্তার, রাজনা আক্তার ও আমিরন।  ভুক্তভোগী ডা. শফিকুল ইসলাম গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ নভেম্বর ‘জুই চৌধুরী’ নামের একটি ফেক ফেসবুক আইডি থেকে ৫ নম্বর আসামি তানিয়া আক্তারের সঙ্গে ডা. শফিকুল ইসলামের পরিচয় হয়। নিয়মিত কথা বলতে বলতে তানিয়া তাকে ত্রিশালে দেখা করতে বলেন। গত ১৯ নভেম্বর বিকেলে বাদী ত্রিশালে পৌঁছালে আসামি সিয়াম তাকে রিসিভ করে ত্রিশাল পৌরসভার উজানপাড়ার একটি ভাড়া ফ্ল্যাট বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে তানিয়ার কক্ষে কথা বলার একপর্যায়ে আসামি রবিউল মোল্লা, আবুল বাশার ও ফরিদুল ইসলাম হঠাৎ ঢুকে পড়ে। পাশে

‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে চিকিৎসকের আপত্তিকর ভিডিও, নারীসহ গ্রেপ্তার ৪ 

হানি ট্র্যাপের ফাঁদ পেতে এক চিকিৎসককে কৌশলে ডেকে নিয়ে আটকে রেখে মারধর ও তিন লাখ টাকা আদায়ের অভিযোগে নারীসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গত বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) ত্রিশাল উপজেলার বীররামপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

এর আগে, গত বুধবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে ত্রিশাল পৌরসভার উজানপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এতে ৯ জনের নামে থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী চিকিৎসক। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—রবিউল মোল্লা, সোনালী আক্তার, রাজনা আক্তার ও আমিরন। 

ভুক্তভোগী ডা. শফিকুল ইসলাম গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ নভেম্বর ‘জুই চৌধুরী’ নামের একটি ফেক ফেসবুক আইডি থেকে ৫ নম্বর আসামি তানিয়া আক্তারের সঙ্গে ডা. শফিকুল ইসলামের পরিচয় হয়। নিয়মিত কথা বলতে বলতে তানিয়া তাকে ত্রিশালে দেখা করতে বলেন। গত ১৯ নভেম্বর বিকেলে বাদী ত্রিশালে পৌঁছালে আসামি সিয়াম তাকে রিসিভ করে ত্রিশাল পৌরসভার উজানপাড়ার একটি ভাড়া ফ্ল্যাট বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে তানিয়ার কক্ষে কথা বলার একপর্যায়ে আসামি রবিউল মোল্লা, আবুল বাশার ও ফরিদুল ইসলাম হঠাৎ ঢুকে পড়ে। পাশের রুম থেকে সোনালী আক্তার, রাজনা আক্তার, রাবেয়া আক্তারসহ আরও কয়েকজন এসে ডাক্তার শফিকুলকে ঘিরে ফেলে। পরিকল্পিতভাবে বাদীকে আপত্তিকর অবস্থায় দুই নারীকে পাশে বসিয়ে তার ভিডিও ও স্থিরচিত্র ধারণ করে। এরপর তাকে ১০ লাখ টাকা দিতে চাপ দেয় এবং টাকা না দিলে হত্যা করে মরদেহ গুম করার হুমকি দেয়। 

প্রাণভয়ে বাদী প্রথমে নিজের কাছে থাকা ২২ হাজার ৫০০ টাকা আসামিদের দেন। এরপর তারা চিকিৎসককে মারধরের পরে বিকাশের বিভিন্ন নম্বরে আত্মীয়দের মাধ্যমে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা পাঠাতে বাধ্য করেন। টাকা নেওয়ার পরও ঘটনার কথা কাউকে বললে হত্যা করার হুমকি দিয়ে তাকে ছেড়ে দেন। তাৎক্ষণিক তিনি ত্রিশাল থানা পুলিশকে জানায় এবং মামলা করেন। 

এ বিষয়ে ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আহমেদ বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে ত্রিশাল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় আমিরন নামে একজনের ব্যাগ থেকে ৫৬ হাজার ৮৫০ টাকা উদ্ধার করে। এ ছাড়া আসামিদের ব্যবহৃত ৬টি মোবাইল ফোন জব্দ করে পুলিশ।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow