হাবিপ্রবি টিএসসির শৌচাগার অকেজো, ছাত্রীরা বিপাকে 

2 hours ago 4
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) টিএসসিতে ছাত্রীদের জন্য নির্মাণ করা হয় আলাদা শৌচাগার। তবে ভিতরে ময়লা জমে দুর্গন্ধের কারণে ব্যবহার অযোগ্য হওয়ায় বছর না পেরোতেই অকেজো সেই শৌচাগার। ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে টিএসসিতে আসা ছাত্রীদের।  বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের দাবির প্রেক্ষিতে এবং তাদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ছাত্রদের ব্যবহৃত শৌচাগার পৃথক করে দিয়ে, ছাত্রীদের ব্যবহারের জন্য আলাদা শৌচাগার তৈরি করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে নির্মাণের পর বছর না পেরোতেই অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ এবং দুর্গন্ধের কারণে ছাত্রীদের জন্য ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ফলে বাধ্য হয়ে পাশে থাকা ছাত্রদের শৌচাগার ব্যবহার করতে হচ্ছে ছাত্রীদেরও, যা অনেক সময়ই অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি করছে ছাত্র-ছাত্রী উভয়কেই।  বর্তমানে টিএসসিতে থাকা একটিমাত্র শৌচাগার ব্যবহারের জন্য অনেক সময় লাইনেও দাঁড়াতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। বিকল্প হিসেবে অনেকেই টিএসসির পাশে থাকা ক্যাফেটেরিয়ার শৌচাগার ব্যবহার করছেন। তবে সেখানেও আলাদা শৌচাগার না থাকায় ছাত্রীদের ভোগান্তি যেন কমছে না।  এক বছরের মাঝেই নতুন শৌচাগার ব্যবহার অযোগ্য হওয়ার পিছনে নিয়মিত পরিষ্কার না করা এবং সঠিক ব্যবহারবিধি না মানাকেও দায়ী করছেন শিক্ষার্থীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রী বলেন, টিএসসিতে পড়াশোনা বা বিভিন্ন কাজে সারাদিন অনেক নারী শিক্ষার্থীকে অবস্থান করতে হয়। এত বিপুল সংখ্যক ছাত্রীর বিপরীতে শৌচাগার আছে মাত্র একটি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ব্যবহারের ওপর একটু চাপ হয়। যেহেতু অনেক শিক্ষার্থী প্রতিদিন এটি ব্যবহার করে তাই প্রতিদিনই ভালোভাবে পরিষ্কার করা উচিত এবং যারা ব্যবহার করে তাদেরও সঠিকভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি বজায় রাখা উচিত। বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রী উভয়ই এক শৌচাগার ব্যবহার করছে, যা অনেক অস্বস্তিকর। ছাত্রী শৌচাগারটি পুনরায় ব্যবহারযোগ্য করে দিলে আমাদের জন্য অনেক সুবিধা হতো।  হাবিবা খাতুন নামের আরেক ছাত্রী বলেন, বর্তমানে একই ওয়াশরুম ছেলে-মেয়ে উভয়কে ব্যবহার করতে হচ্ছে। যা অনেকটাই অস্বস্তিকর। ছাত্রীদের জন্য নির্মিত ওয়াশরুমটি পুনরায় ব্যবহারযোগ্য করে দিলে আমাদের জন্য অনেক সুবিধা হতো। এ বিষয়ে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের সহকারী পরিচালক অধ্যাপক ড. নিজামউদ্দীন বলেন, শৌচাগারটি পরিষ্কার করে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য করার বিষয়ে ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুরো ওয়াশরুম রিমডেলিং করে পুনরায় চালু করার বিষয়ে আমরা ইতোমধ্যে আলোচনা করেছি।  কবে নাগাদ শৌচাগারটি পুনরায় ব্যবহারযোগ্য করা হতে পারে এ বিষয়ে তিনি বলেন, এটা বাজেটের ওপর নির্ভর করছে। বাজেট হাতে পেলেই আমরা কাজ শুরু করব। যেহেতু শিক্ষার্থীদের সমস্যা হচ্ছে তা মাথায় রেখেই দ্রুত কাজ শুরু করার পরিকল্পনা আছে। 
Read Entire Article