বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া এএফসি ‘এ’ লাইসেন্স কোচিং কোর্স শুরু করেছেন। প্রথম দিনেই তিনি বাফুফের অনাবাসিক একাডেমির ক্ষুদে ফুটবলারদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং তাদের উৎসাহিত করেন। পরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা চৌধুরীর বাংলাদেশে আসা এবং নিজের ক্লাব নিয়ে চলমান জটিলতা নিয়ে কথা বলেন।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা চৌধুরীর বাংলাদেশের হয়ে খেলার বিষয়টি ইতোমধ্যেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। এ নিয়ে জামাল বলেন, ‘হামজা সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলে, যা দেশের ফুটবলের জন্য বিশাল ব্যাপার। যদি আমাদের আরও ৩-৪ জন হামজার মতো খেলোয়াড় থাকত, তাহলে দেশের ফুটবলে বড় পরিবর্তন সম্ভব। হামজার আগমন সবাইকে অনুপ্রাণিত করবে।’
বর্তমানে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্বে খেলতে পারেননি জামাল ভূঁইয়া। ঢাকা আবাহনীর সঙ্গে তার পারিশ্রমিক সংক্রান্ত জটিলতার সমাধান হয়নি। এ নিয়ে বাফুফেতে আবেদন করলেও কোনো সমাধান মেলেনি। এ প্রসঙ্গে তিনি সংক্ষেপে বলেন, ‘দেখা যাক।’ প্রয়োজনে তিনি ফিফা বা এএফসিতে যাওয়ার ইঙ্গিত দেন।
এদিকে, ব্রাদার্স ইউনিয়নের হয়ে কিছুদিন অনুশীলন করলেও এখনো নিজের চূড়ান্ত গন্তব্য জানাননি। এ নিয়ে জামাল বলেন, ‘আগামী দশ দিনের মধ্যে আমার পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাব।’
জামাল ভূঁইয়াকে অনাবাসিক একাডেমির ক্ষুদে ফুটবলারদের সঙ্গে নিয়ে আসার বিষয়ে বাফুফের টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান কামরুল হাসান হিল্টন বলেন, ‘জামাল তরুণদের আইকন। সম্প্রতি তিনি পাঠ্যবইয়ে স্থান পেয়েছেন। তাকে ক্ষুদে ফুটবলারদের সামনে আনা হয়েছে যেন তারা আরও অনুপ্রাণিত হয়।’
জামালের পাশাপাশি জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মামুনুল ইসলামও এএফসি ‘এ’ লাইসেন্স কোচিং কোর্স করছেন। ফেডারেশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মামুনুল বলেন, ‘জাতীয় ফুটবলারদের কোচিং করার সুযোগ দেওয়ার জন্য ফেডারেশনকে ধন্যবাদ। তাদের সহযোগিতায় ‘বি’ কোর্স সম্পন্ন করেছি, এখন ‘এ’ কোর্স করছি।’
এএফসি ‘এ’ লাইসেন্স কোর্সে ২৪ জন ফুটবলার অংশ নিচ্ছেন। জাতীয় দলের তারকাদের কোচিংয়ের প্রতি আগ্রহ ফুটবলে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।