হামলা-লুটের প্রতিবাদও হলো গানে

গানে গানে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটের প্রতিবাদ জানিয়েছে সাংস্কৃতিক সংস্থা ছায়ানট। আজ (২৩ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার বিকেলে ধানমন্ডির শংকরে ছায়ানট সংস্কৃতি-ভবনের সামনের রাস্তায় ছিল তাদের ‘গানে গানে সংহতি-সমাবেশ’। এতে অংশ নেন কয়েকশ’ মানুষ। দেশের প্রথিতযশা শিল্পী, সাহিত্যিক, নালন্দা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-অভিবাবকসহ নানান বয়সী মানুষ তাদের সঙ্গে গলা মিলিয়ে গান গেয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ঘণ্টাব্যাপী এ প্রতিবাদ সমাবেশে সমবেত কণ্ঠে ১২টি গান করেছেন শিল্পী ও প্রতিবাদে অংশগ্রহণকারীরা। এ সময় তাদের হাতে ছিল ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড। তাদের গাইতে শোনা গেছে ‘তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দেবরে’, ‘মোরা ঝঞ্ঝার মতো উদ্দাম’, ‘ও ভাই খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি’, ‘চল্‌ চল্‌ চল্‌’, ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’, ‘আবার তোরা মানুষ হ’ গানগুলো। জাতীয় সংগীতের মধ্যদিয়ে শেষ হয় এই সমাবেশ। সমাবেশ শেষে ধন্যবাদ জানিয়ে ছায়নটের সভাপতি সরোয়ার আলী বলেন, ‘উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী এবং সাম্প্রতিককালে দেশের বাউলসমাজের ওপরও একটি মহল সহিংস আক্রমণ চালিয়েছে। সেই সাথে তারা বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার চালিয়ে আবহমান বাংলা সংস্কৃতি চর্চা থেকে আমাদের নিবৃত করতে উদ্যত।

হামলা-লুটের প্রতিবাদও হলো গানে

গানে গানে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটের প্রতিবাদ জানিয়েছে সাংস্কৃতিক সংস্থা ছায়ানট। আজ (২৩ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার বিকেলে ধানমন্ডির শংকরে ছায়ানট সংস্কৃতি-ভবনের সামনের রাস্তায় ছিল তাদের ‘গানে গানে সংহতি-সমাবেশ’। এতে অংশ নেন কয়েকশ’ মানুষ। দেশের প্রথিতযশা শিল্পী, সাহিত্যিক, নালন্দা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-অভিবাবকসহ নানান বয়সী মানুষ তাদের সঙ্গে গলা মিলিয়ে গান গেয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

ঘণ্টাব্যাপী এ প্রতিবাদ সমাবেশে সমবেত কণ্ঠে ১২টি গান করেছেন শিল্পী ও প্রতিবাদে অংশগ্রহণকারীরা। এ সময় তাদের হাতে ছিল ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড। তাদের গাইতে শোনা গেছে ‘তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দেবরে’, ‘মোরা ঝঞ্ঝার মতো উদ্দাম’, ‘ও ভাই খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি’, ‘চল্‌ চল্‌ চল্‌’, ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’, ‘আবার তোরা মানুষ হ’ গানগুলো। জাতীয় সংগীতের মধ্যদিয়ে শেষ হয় এই সমাবেশ।

হামলা-লুটের প্রতিবাদও হলো গানে

সমাবেশ শেষে ধন্যবাদ জানিয়ে ছায়নটের সভাপতি সরোয়ার আলী বলেন, ‘উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী এবং সাম্প্রতিককালে দেশের বাউলসমাজের ওপরও একটি মহল সহিংস আক্রমণ চালিয়েছে। সেই সাথে তারা বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার চালিয়ে আবহমান বাংলা সংস্কৃতি চর্চা থেকে আমাদের নিবৃত করতে উদ্যত। এ সকল কর্মকাণ্ড বাঙালি জাতিসত্তা ও সংস্কৃতির ওপরে আঘাত হানছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গণমাধ্যমের ওপর বেপরোয়া আক্রমণ এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘটে চলা শিশু থেকে বৃদ্ধ নিরাপরাধ মানুষ হত্যা দেশবাসীর নিরাপত্তা বিপন্ন করছে। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে যোগ্য কর্মোদ্যোগ গ্রহণ জাতিসত্তা ও সংস্কৃতি সুরক্ষায় সমাজকে সক্রিয় করে তুলবে। নিরাপত্তাহীনতার অবসান ঘটুক। বাঙালির সংস্কৃতির যাত্রাপথ নির্বিঘ্ন হোক।’

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকার পাশাপাশি হামলা হয় উদীচী ও ছায়ানট ভবনেও। হামলায় গুঁড়িয়ে-পুড়িয়ে দেওয়া হয় শিল্পকর্ম, বাদ্যযন্ত্র, সংগীতের উপকরণসহ জরুরি ফাইলপত্র।

এমআই/আরএমডি

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow