হামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ নেতা হাসপাতালে

4 hours ago 8

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাইবান্ধা জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম আকাশ, মেহেদী হাসান ও যুগ্ম সদস্য সচিব শেফাউর রহমান শিপনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে জেলা শহরের স্বাধীনতা প্রাঙ্গণে মাসব্যাপী কুটির শিল্প ও পণ্য মেলায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মেলার ভেতরে হঠাৎ করে একদল দুর্বৃত্তরা ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের ওপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা তাদেরকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করাসহ ধারালো ছোরা দিয়ে আঘাত করে। এতে তিনজন আহত হন।

হাসপাতালে আহত মেহেদী হাসান ও শেফাউর রহমান জানান, ছাত্র আন্দোলনের জেলার যুগ্ম সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান তার পরিবার নিয়ে মেলায় যায়। এসময় মেলার এক দোকানের কর্মচারী আসাদুজ্জামানকে হেনস্তা করে। বিষয়টি জানতে পেরে আমরা কয়েকজন মেলায় যাই। সেসময় দোকান মালিকের সঙ্গে কথা বলে ওই কর্মচারীকে মেলা থেকে বের করে দেই। 

পরে মেলা থেকে আমরা বের হওয়ার সময় অপরিচিত দুই নারীকে কয়েকজন মিলে স্টিলের চামচ দিয়ে মারধর করতে দেখি। চুরির অভিযোগে তাদের মারধর করতে বাঁধা দিলে তারা ধারালো অস্ত্র হাতে আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আকাশ, মেহেদী ও শিপন আহত হয়। 

হাসপাতালে আহতদের সঙ্গে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাইবান্ধা জেলা শাখার সদস্য সচিব বায়োজিদ বোস্তামী জীম বলেন, আমাদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। প্রথমে ধারালো ছুরি দিয়ে তারা আসাদুজ্জামান ও মেহেদীকে আঘাতের চেষ্টা করে। এসময় মেহেদীকে বাঁচাতে গেলে আকাশের বুকে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়। 

এসময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, ঘটনাটি সদর থানার ওসি ও সেনাবাহিনীকে জানাই। হামলার ঘটনাটি পরিকল্পিত, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী ও সুবিধাবাদি বিএনপির একটি দল ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে হামলা চালিয়েছে। 

এদিকে, হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সোমবার রাত পৌনে ১২টার দিকে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সদর থানায় অবস্থান নেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। এছাড়া তাৎক্ষণিক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে হামলার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করাসহ দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। 

ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহমুদ আল হাসান ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সদর হাসপাতালে যান। এসময় তারা আহতদের খোঁজখবর নেন এবং তাদের সঙ্গে কথা বলেন। 

পরে ইউএনও মো. মাহমুদ আল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, হামলার ঘটনাটি তদন্তে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরাও কাজ করছে। দ্রুতই জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে ঘটনার বিষয়ে বক্তব্য পাওয়া যায়নি গাইবান্ধা সদর থানার ওসি শাহীনুর তালুকদারের। তার মোবাইল ফোনে বারবার কল দিলেও তা রিসিভ হয়নি।

Read Entire Article