হামাস যেখানেই আছে, ইসরায়েল সেখানেই হামলা চালাবে বলে মন্তব্য করেছেন দখলদার দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জেরুজালেমে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও’র সঙ্গে বৈঠক শেষে যৌথ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন তিনি।
সোমবার কাতারে হামলা নিয়ে নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কো রুবিও। বৈঠকে রুবিও ওই হামলার কারণে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্ট ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি জানান, ইসরায়েলের এমন আচরণে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র।
নেতানিয়াহুর পশ্চিম জেরুজালেমের অফিসে দুই ঘণ্টার বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে একে অপরকে রক্ষা করতে। তিনি বলেন, রুবিওর সফর স্পষ্ট বার্তা যে, সন্ত্রাসের মুখে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে।
নেতানিয়াহু কাতারে হামলার বিষয়ে সমালোচনার দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, যারা ইসরায়েলের নিন্দা করছে, তাদের মধ্যে অসংখ্য দ্বিমুখিতা রয়েছে। তিনি পুনরায় বলেন, হামাস যেখানেই আছে, ইসরায়েল সেখানেই হামলা চালাবে।
রুবিওও ইসরায়েলের যুদ্ধনীতি সমর্থন করে বলেন, হামাসকে অস্ত্রধারী সত্বা হিসেবে অস্তিত্ব ত্যাগ করতে হবে। তাদের সশস্ত্র অবস্থান পুরো মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
জর্ডানের আম্মান থেকে আল-জাজিরার সাংবাদিক হামদাহ সালহুত জানান, সংবাদ সম্মেলনে রুবিও কিংবা নেতানিয়াহুর কেউই গাজায় হামলা, ইসরায়েলের সামরিক সম্প্রসারণ ও কাতারে হামলার বিষয়ে কোনো নতুন তথ্য প্রকাশ করেননি। নেতানিয়াহু ভবিষ্যতে এটি বন্ধ করতে পারেন কি না তাও স্পষ্ট করেননি। আর রুবিওও ইসরায়েলের এমন বর্বরতার নিন্দা করতে দ্বিধা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, আমরা শুধু ভবিষ্যতের দিকে মনোযোগ দিচ্ছি, অতীতকে নয়।
এদিকে, মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) কাতারে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সামরিক আগ্রাসন নিয়ে জরুরি আলোচনার ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ। পরিষদ জানিয়েছে, ইসলামিক কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (ওআইসি) সদস্য পাকিস্তান ও গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের (জিসিসি) সদস্য কুয়েতের পক্ষ থেকে দুটি আনুষ্ঠানিক অনুরোধ এসেছে ।
২০০৬ সালে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ গঠনের পর এটি হবে দশম জরুরি আলোচনা হবে।
ইসরায়েল বারবার মানবাধিকার পরিষদের প্রতিবেদন ও প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করেছে, যার মধ্যে গত বছরের একটি প্রস্তাবে সব দেশকে ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বা হস্তান্তর বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছিল। এ বছর ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার পরিষদের বৈঠকেও অংশ নেয়নি।
সূত্র: আল-জাজিরা
এসএএইচ