হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে করণীয়

একেবারে সুস্থ-সবল মানুষ—কোনো রোগ নেই। তবুও হঠাৎ একদিন বুকে ব্যথা, তারপর ধরা পড়ল হার্ট অ্যাটাক। এমন ঘটনা বর্তমানে খুবই সাধারণ। হৃদরোগ অনেক সময় সতর্কবার্তা না দিয়েই আসে। ধমনির ভেতরে রক্ত জমাট বাঁধছে কি না, সাধারণত বোঝার উপায় থাকে না। বুকে ব্যথা, ঘাম, শ্বাসকষ্ট—এমন কোনো লক্ষণ না থাকলেও হঠাৎ বিপদের মুখে পড়া সম্ভব। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, ধমনির ব্লকেজ হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম প্রধান কারণ। ব্লকেজ হলে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়, যার ফলে হৃদযন্ত্রে অতিরিক্ত চাপ পড়ে এবং জটিলতা বাড়তে থাকে। তাই হার্টের ঝুঁকি কমাতে ধমনি সুস্থ রাখা অত্যন্ত জরুরি। জীবনযাত্রায় স্বাস্থ্যকর পরিবর্তন, সঠিক খাবার এবং নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে ধমনির ব্লকেজ অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়। চলুন, জেনে নিই ধমনি পরিষ্কার ও ব্লকেজ কমাতে যেসব অভ্যাস বিশেষভাবে কার্যকর। পর্যাপ্ত ভিটামিন কে-২ গ্রহণ ধমনির ব্লকেজের অন্যতম কারণ হলো ক্যালসিফিকেশন— অর্থাৎ ধমনিতে ক্যালসিয়াম জমাট বাঁধা। ভিটামিন কে-২ শরীরের ক্যালসিয়ামকে রক্ত থেকে সরিয়ে হাড়ে পৌঁছাতে সাহায্য করে। ফলে ধমনিতে ক্যালসিয়াম জমার সম্ভাবনা কমে। ডিমের কুসুম, মুরগির লিভার, পালং শাক, ব্রকল

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে করণীয়

একেবারে সুস্থ-সবল মানুষ—কোনো রোগ নেই। তবুও হঠাৎ একদিন বুকে ব্যথা, তারপর ধরা পড়ল হার্ট অ্যাটাক। এমন ঘটনা বর্তমানে খুবই সাধারণ। হৃদরোগ অনেক সময় সতর্কবার্তা না দিয়েই আসে।

ধমনির ভেতরে রক্ত জমাট বাঁধছে কি না, সাধারণত বোঝার উপায় থাকে না। বুকে ব্যথা, ঘাম, শ্বাসকষ্ট—এমন কোনো লক্ষণ না থাকলেও হঠাৎ বিপদের মুখে পড়া সম্ভব। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, ধমনির ব্লকেজ হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম প্রধান কারণ। ব্লকেজ হলে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়, যার ফলে হৃদযন্ত্রে অতিরিক্ত চাপ পড়ে এবং জটিলতা বাড়তে থাকে।

তাই হার্টের ঝুঁকি কমাতে ধমনি সুস্থ রাখা অত্যন্ত জরুরি। জীবনযাত্রায় স্বাস্থ্যকর পরিবর্তন, সঠিক খাবার এবং নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে ধমনির ব্লকেজ অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়। চলুন, জেনে নিই ধমনি পরিষ্কার ও ব্লকেজ কমাতে যেসব অভ্যাস বিশেষভাবে কার্যকর।

পর্যাপ্ত ভিটামিন কে-২ গ্রহণ

ধমনির ব্লকেজের অন্যতম কারণ হলো ক্যালসিফিকেশন— অর্থাৎ ধমনিতে ক্যালসিয়াম জমাট বাঁধা।

ভিটামিন কে-২ শরীরের ক্যালসিয়ামকে রক্ত থেকে সরিয়ে হাড়ে পৌঁছাতে সাহায্য করে। ফলে ধমনিতে ক্যালসিয়াম জমার সম্ভাবনা কমে। ডিমের কুসুম, মুরগির লিভার, পালং শাক, ব্রকলি–এসব খাবারে ভিটামিন কে-২ পাওয়া যায়।

অতিরিক্ত পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট বাদ

অনেকে মনে করেন, শুধু ফ্যাটজাতীয় খাবারই হার্টের ক্ষতি করে। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, অত্যধিক পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট—যেমন সাদা পাউরুটি, মিষ্টি, সফট ড্রিংকস ধমনির ব্লকেজ বাড়ানোর ক্ষেত্রে আরো ক্ষতিকর।

এসব খাবার শরীরে প্রদাহ বাড়ায় এবং ধমনির ভেতরে জমাট বাঁধার ঝুঁকি বাড়ায়। তাই এগুলো এড়িয়ে চলাই উত্তম।

প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম

বাড়তি ওজন ধমনির ব্লকেজের বড় কারণ। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম প্রয়োজন। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা, সাঁতার, সাইক্লিং বা জিমের ব্যায়াম করলে হার্ট সুস্থ থাকে এবং ব্লকেজের ঝুঁকিও কমে।

সূত্র : আনন্দবাজার।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow