হালাল সার্টিফিকেশন কার্যক্রমে ওআইসি’র সহযোগিতা চেয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানের ইসলামাবাদে স্ট্যান্ডিং কমিটি অন সায়েন্টিফিক অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল কো-অপারেশন সেন্টার (কমসটেক) পরিদর্শন শেষে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ সহযোগিতা চান।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে ইসলামিক ফাউন্ডেশন এরই মধ্যে হালাল সার্টিফিকেশন নিয়ে কাজ করছে এবং এ বিষয়ে তুরস্ক ও সৌদি আরবের সংশ্লিষ্ট অথরিটির সহযোগিতা চেয়েছে। তিনি ওআইসি’র তত্ত্বাবধানে কমসটেকের কারিগরি সহায়তায় বাংলাদেশে হালাল সার্টিফিকেশনের কর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রস্তাব দেন। এছাড়া, কমসটেকের সহায়তায় উগান্ডায় একটি হালাল ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার উদ্যোগের প্রতিও তিনি একমত পোষণ করেন।
মুসলিম বিশ্বে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং দারিদ্র্যতা কমাতে গতিশীলতা আনতে ওআইসি’র মন্ত্রী পর্যায়ের স্থায়ী কমিটি কমসটেকের ভূমিকাকে সাধুবাদ জানান ধর্ম উপদেষ্টা।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য লাহোর বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০০টি বৃত্তি মঞ্জুর করায় কমসটেক-কে ধন্যবাদ জানিয়ে ড. খালিদ বলেন, এ উদ্যোগ বাংলাদেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষা অর্জনের সুযোগ করে দেবে।
কোরআন ও হাদিসে দৃঢ় ভিত্তি রয়েছে এমন মাদরাসা শিক্ষার্থীদের জন্যও এ ধরনের সুযোগ বিস্তৃত করা জরুরি বলে উপদেষ্টা মন্তব্য করেন তিনি। এর ফলে চিকিৎসা, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মাদরাসা শিক্ষার্থীরাও অবদান রাখতে পারবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের গুরুত্ব তুলে ধরে খালিদ হোসেন বলেন, মুসলিম উম্মাহর বৃহত্তর স্বার্থে আমাদের ইসলামের পতাকার নিচে, কোরআন ও হাদিসের নির্দেশনামতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বৈচিত্র্যের মাঝে ঐক্য ছাড়া আমরা অগ্রসর হতে পারবো না।
এসময় পাকিস্তানে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. ইকবাল হোসেন খান, উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ, কাউন্সিলর (প্রেস) মোহাম্মদ তৈয়ব আলী, কমসটেকের কো-অর্ডিনেটর জেনারেলসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরএমএম/ইএ/এমএস