হাসপাতালের একমাত্র অ্যাম্বুলেন্সও নষ্ট, রোগীদের ভোগান্তি

3 months ago 23

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একমাত্র অ্যাম্বুলেন্সটি বিকল হয়ে পড়ে আছে। ফলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোগী ও স্বজনরা। জরুরি চিকিৎসার জন্য বেশি টাকা খরচ করে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সে করে বিভাগীয় শহরে যেতে হচ্ছে রোগীদের।

স্থানীয়রা জানান, ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রতিদিন ৫-১০ জন রোগীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিতে হয়। তবে হাসপাতালের গ্যারেজে দুটি অ্যাম্বুলেন্স বছরের পর বছর নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। এগুলো মেরামত করে কাজে লাগানোর বিষয়ে উদাসীন কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের দাবি, অকেজো গাড়ি সংস্কার বা নিলামে বিক্রির প্রক্রিয়া জটিল। সরকারি মূল্যতালিকা অনুযায়ী, অ্যাম্বুলেন্সগুলো প্রতি কিলোমিটারে ১০ টাকা হারে ভাড়া আদায় করার কথা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা শহরে পাঁচটির বেশি ব্যক্তি মালিকানাধীন অ্যাম্বুলেন্স আছে। রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, ব্যক্তি মালিকানাধীন অ্যাম্বুলেন্সগুলো যাত্রী পরিবহনে সরকারি মূল্যতালিকা মানে না। খেয়াল-খুশিমতো তারা রোগী পরিবহনে দ্বিগুণেরও বেশি অর্থ আদায় করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে ব্যক্তি মালিকানাধীন অ্যাম্বুলেন্স মালিকরা একটি সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন।

হাসপাতালের একমাত্র অ্যাম্বুলেন্সও নষ্ট, রোগীদের ভোগান্তি

হাসপাতাল ও কয়েকজন চালক সূত্রে জানা যায়, ডিমলা থেকে রংপুর সরকারি হাসপাতালে রোগী পরিবহনে সরকারি ভাড়া এক হাজার ৬০০ টাকা। অথচ বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সে নেওয়া হয় ৩-৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাচ্ছেন গরিব রোগী ও স্বজনরা।

সেবা নিতে আসা শামীম ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতালে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স মাত্র একটা। সেটিও প্রায়ই নষ্ট থাকে। এ সুযোগে রোগীপ্রতি কয়েকগুণ বেশি ভাড়া নিচ্ছে ব্যক্তি মালিকানাধীন অ্যাম্বুলেন্সগুলো। আমরা রোগীরা অসহায় হয়ে পড়েছি।’

হাসপাতালের একমাত্র অ্যাম্বুলেন্সও নষ্ট, রোগীদের ভোগান্তি

জানতে চাইলে হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সচালক আব্দুল হাকিম জানান, হাসপাতালের দুটি অ্যাম্বুলেন্স পরিত্যক্ত। সচল অ্যাম্বুলেন্সটি ১৫-২০ দিন হলো বিকল হয়েছে।

তবে অ্যাম্বুলেন্স নষ্ট হয়ে সেবা বন্ধ থাকার বিষয়টি জানেন না বলে দাবি করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাশেদুজ্জামান। তিনি বলেন, খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইব্রাহিম সুজন/এসআর/জেআইএম

Read Entire Article