জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক দলের প্রতিবেদনে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে, শেখ হাসিনা একজন ফ্যাসিস্ট। এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, একজন ব্যক্তি, বিশেষ করে শেখ হাসিনার নির্দেশেই গুম, খুন, মানবাধিকার লঙ্ঘন ,গণতন্ত্রকে হত্যা, ভায়োলেন্স সবকিছু হয়েছে। এটি ফুটে উঠেছে প্রতিবেদনে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত বৃটিশ হাইকমিশনার জেমস গোল্ডম্যানের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকটি বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষণ দলের প্রতিবেদন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, এটাতে আমরা স্বস্তি প্রকাশ করছি। সত্য যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, সেগুলোই উদঘাটিত হয়েছে। সমস্যাটটা হচ্ছে কী- যখন জাতিসংঘ বলে তখন আমরা বিশ্বাস করি। আর যখন রাজনৈতিক দলগুলো বলি, তখন অনেকেই বিশ্বাস করতে চায় না।
এ সময় তিনি জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক দলের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আয়নাঘর তৈরি করে নিরীহ লোকদের ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন চালিয়ে আওয়ামী লীগ মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। আমরা চাইবো ভারত সরকার শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ সরকারের হাতে তুলে দিবে এবং তার ও তার সহযোগীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
তিনি বলেন, কোনো দল নির্বাচন করবে কি করবে না, থাকবে কি থাকবে না, কোন দল নিষিদ্ধ হবে- এসব সিদ্ধান্ত দিবে জনগণ। আমরা হচ্ছি একটি লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি। আমরা গণতন্ত্রের সব আদর্শকে ধারণ করি, করে আসছি।
বিএনপি আনুপাতিক হারে নির্বাচনের পুরোপুরি বিরোধী মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা অত্যন্ত জোরালোভাবে এর বিরোধী। এই ব্যবস্থাকে কোনোভাবেই আমরা সমর্থন করব না। এখানকার মানুষ এটাতে অভ্যস্ত না। প্রশ্নই উঠতে পারে না।
- আরও পড়ুন
- খুব দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা হবে, আশা মির্জা ফখরুলের
- সরকার ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে: মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, যত দ্রুত নির্বাচন হবে, ততই দেশে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন শুরু হবে।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলেও এসময় জানান মির্জা ফখরুল।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত বৃটিশ পলিটিক্যাল কাউন্সিলর টিম ডাকেট এবং বিএনপির শ্যামা ওবায়েদ।
কেএইচ/এএমএ/জিকেএস