হাসিনার ফ্যাসিবাদের প্রথম বহিঃপ্রকাশ ২৮ অক্টোবর

8 hours ago 7

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘শেখ হাসিনার প্রথম ফ্যাসিবাদের বহিঃপ্রকাশ ২৮ অক্টোবরের ঘটনা। এ ঘটনার মর্মান্তিকতা, নিষ্ঠুরতা বিশ্বের বিবেককে নাড়া দিয়েছে। সারাদেশের মানুষ বিস্মিত হয়েছে। বেদনায় হতবাক হয়েছে।’

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) উদ্যোগে ‘২৮ অক্টোবর প্রেক্ষিত ‘লগি-বৈঠার লাশতন্ত্র থেকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের উত্থান’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘নিষ্ঠুর নারকীয়তার যে দৃশ্য আমরা সেদিন দেখেছি সেটা ভাষায় বর্ণনা করার মতো নয়। এ ঘটনার সময় আমরা পল্টন অফিসের সামনে মিটিং করছি। এমন সময় পদত্যাগপত্র দিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী (খালেদা জিয়া) আসলেন আমাদের এখানে। তখন৩টা বা সাড়ে ৩টা হবে। জামায়াতে ইসলামের মিটিং শুরু হয়ে গেছে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে আমরা ঘটনা শুনছি, টিয়ার গ্যাসের শব্দ শুনছি, বোমাবাজির শব্দ শুনছি। এমন একটা অবস্থায় কে কাকে ওই সময় এগিয়ে যাবে, সেই প্রস্তুতিও মনে হয় নাই।’

তিনি বলেন, ‘যখন তাণ্ডব শেষ পর্যায়ে তারপর উনাকে (খালেদা জিয়া) খবর দেওয়া হলো জামায়াতের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এমন রক্তাক্ত ঘটনা ঘটেছে। পাশবিক নির্মমতায় হত্যা করে সে লাশের ওপর নৃত্য করছে ১৪ দলীয় জেটের নেতারা। এসব শুনে তিনি দেখছেন যে পুলিশ কোনো কথা শুনছে না তখন বিডিআরকে বললেন। বিডিআর তখন মুভ করে। তখন রক্তাক্ত ঘটনা অনেক ঘটে গেছে।’

রিজভী অভিযোগ করেন, ‘২৮ অক্টোবরের পর থেকে রাজনীতিতে এবং প্রশাসনে আওয়ামী লীগের দলীয়করণ শুরু হয়; প্রশাসন-আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে পার্টি অনুগত করে গঠন করা হয়। এ প্রক্রিয়াই পরবর্তীতে ফ্যাসিবাদকে প্রাতিষ্ঠানিক করে তোলে।’

তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদের বয়ান সবসময় একটি চেতনাকে বিকৃত করে হাজির হয়। শেখ হাসিনার চেতনাও তাই- যেখানে বিরোধী কণ্ঠ মানেই রাষ্ট্র বিরোধিতা। আমাদের তরুণদের এ বয়ানের বিপরীতে দাঁড়িয়ে সত্য ও স্বাধীনতার চর্চা করতে হবে।’

ছাত্র নেতৃত্বের ভূমিকাকে গুরুত্ব দিয়ে রিজভী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সূচনাস্থল হবে। তিনি ডাকসুর নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানিয়ে জানান, বিশ্ববিদ্যালয় হতে মুক্তবুদ্ধির চর্চা ও স্বাধীন আলোচনা বাড়াতে হবে।’

এফএআর/আরএইচ

Read Entire Article