ভারতের হায়দরাবাদে আইকনিক চারমিনারের কাছে একটি ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়া গেছে। এতে ৮ শিশু এবং পাঁচ নারীসহ কমপক্ষে ১৭ জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা জানা যায়নি। তবে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমস।
দমকল বাহিনীর এক কর্মকর্তা বলেছেন, তারা রোববার (১৮ মে) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে চারমিনারের কাছে ঐতিহাসিক গুলজার হাউজের একটি বহুতল ভবনে আগুন লাগে। গুলজার হাউজের নিচে একটি গয়নার দোকান ছিল। সেখানে প্রথমে আগুন লাগে।
মুহূর্তের মধ্যে দোকানের ওপরে থাকা বহুতল ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কে চারিদিকে ছোটাছুটি করতে থাকেন বাসিন্দারা। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারপাশ। খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের ১১টি ইঞ্জিন। কয়েক ঘন্টার চেষ্টায় দমকলবাহিনী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় দমকলের আগুন নেভাতে ও উদ্ধারকাজে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলজার হাউজএলাকায় তাদের দোকানের ওপরেই বাস করতেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছেন।
তিনি বলেন, পুলিশ, পৌরসভা, দমকল এবং বিদ্যুৎ বিভাগকে আরও শক্তিশালী হতে হবে। কারণ সে সময়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়া দমকল কর্মীদের কাছে প্রাথমিকভাবে উপযুক্ত সরঞ্জাম ছিল না। আগামী দিনে আরও উন্নত প্রযুক্তি আনা উচিত। আমি কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবো এবং এই ঘটনায় নিহতদের পরিবারের জন্য আর্থিক সহায়তা পাওয়ার চেষ্টা করবো।
অন্যদিকে তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেভন্ত রেডিও এই ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন। তিনি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ত্রাণ প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন এবং আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে বলেছেন। অগ্নিকাণ্ডের পর প্রায় ২০ জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
- আরও পড়ুন:
- ভারতে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি বেশকিছু পণ্য প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
- বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসায়িক ক্ষতির শঙ্কায় ভারতীয় ব্যবসায়ীরা
জানা গেছে, যেখানে আগুন লেগেছে সেখানে সারি সারি গয়নার দোকান রয়েছে এবং এটি ঐতিহাসিক চারমিনারের খুব কাছেই অবস্থিত। এই ঘটনায় দ্রুত সাড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কার্যালয় জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী গভীরভাবে মর্মাহত। যারা তাদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন তাদের সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। নিহতদের প্রত্যেকের নিকটাত্মীয়কে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় তহবিল থেকে ২ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
টিটিএন

5 months ago
11









English (US) ·