হেম লক্ষ্মী
হেম আসে সোনারোদে সাদা মেঘের পাল তুলে
শূন্য গোলা পূর্ণ করে লক্ষ্মী নিয়ে দ্বার খুলে।
ঝিকিমিকি শিশির গায়ে মিষ্টি হাসে দূর্বাঘাস
স্বচ্ছ জলে মনের সুখে খেলা করে পাতিহাঁস।
ছোট্ট ছোট্ট নৌকা নিয়ে জেলে চলে নদীর বাকে
বনের পাখি গান গেয়ে যায় মিষ্টি সুরে গাছের শাখে।
লালপদ্ম, শাপলা-শালুক ভাসতে থাকে জলের বুকে,
পাকা ধানের মৌ গন্ধে চাষি ঘুমায় মনের সুখে।
ভেজা ভেজা নরম হাওয়ায় শিউলি পড়ে গাছের তলে
মাছগুলো সব খেলা করে খালে-বিলে, পুকুর জলে।
আপন দানের আড়াল করে লক্ষ্মী আসে বারংবার
সব মানুষের স্বপ্ন আশা হৈম চাষির অহংকার।
****
হেমন্তের নীরবতা
হেমন্তের কুয়াশায় ঢেকে গেছে
পাকা ধানের সোনারং
প্রীতির বাঁধন ছিড়ে গেছে ঈর্ষায়।
কাস্তে ধরেছে মরিচা
ঢেঁকির তালে তালে শোনা যায়
হৃদয় ভাঙা শব্দ
কচি লাউয়ের বোঁটায় ধরেছে পচন
শুভ্র মেঘের ভেলায় ভীতির সাহারা
শিউলির উষিত বেদন ঝরে পড়ে শিশিরে
জোছনার পঞ্জরে নেমে আসে কালো আঁধার
মাটি খুঁড়ে ফসল ঘরে তোলে ঢেড়ে ইঁদুর
উদাস ক্লান্তিতে ঘূর্ণিপাক খায় নিস্বতায়।
এসইউ/এএসএম