হেলিকপ্টারে বরকে নিয়ে বাবার বাড়িতে কনে

সন্তানের হাত ধরেও কখনো কখনো বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ হয়। এমনই এক ঘটনার সাক্ষী হলেন বাগেরহাট সদর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নবাসী। মায়ের আজীবনের স্বপ্ন হেলিকপ্টার থেকে নেমে পালকিতে করে শ্বশুরবাড়িতে আসা। নিজের জীবনে না পারলেও সেই শখ পূরণ করলেন বড় মেয়ে। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে নবদম্পতি খানপুরের ফয়েজ স্টেজ মাঠে অবতরণ করেন। পরে হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী পালকিতে করে বর মেজবাহ আহমেদকে নিয়ে বাবার বাড়িতে ওঠেন কনে মেহেনাজ জামান সিঁথি। মা ইসমাত জাহান বলেন, ‌‘আমার জীবনে একটা স্বপ্ন ছিল হেলিকপ্টার থেকে নেমে এসে পালকিতে শ্বশুরবাড়িতে আসবো। সেই সুযোগ আমার ভাগ্যে হয়নি। কিন্তু আল্লাহ যেন আমার বড় মেয়ের মাধ্যমে সেই স্বপ্ন পূরণ করলেন। আজ মেয়ে ও জামাইকে হেলিকপ্টারে করে বাড়িতে আনতে পেরেছি। পালকিতে করে ঘরে তুলেছি। এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।’ বাবা নাহিদুর জামান রাজু বলেন, ‘আমার দুই মেয়ে এক ছেলে। ছেলে ব্যাংকে চাকরি করে। মেয়ে-জামাইকে স্বাগত জানাতে পুরো গ্রামে এক উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আজ যেভাবে মানুষ এসেছে, হাসিমুখে অংশ নিয়েছে, একজন বাবা হিসেবে আমি সত্যিই গর্বিত ও আনন্দিত।’ স্থা

হেলিকপ্টারে বরকে নিয়ে বাবার বাড়িতে কনে

সন্তানের হাত ধরেও কখনো কখনো বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ হয়। এমনই এক ঘটনার সাক্ষী হলেন বাগেরহাট সদর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নবাসী। মায়ের আজীবনের স্বপ্ন হেলিকপ্টার থেকে নেমে পালকিতে করে শ্বশুরবাড়িতে আসা। নিজের জীবনে না পারলেও সেই শখ পূরণ করলেন বড় মেয়ে।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে নবদম্পতি খানপুরের ফয়েজ স্টেজ মাঠে অবতরণ করেন। পরে হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী পালকিতে করে বর মেজবাহ আহমেদকে নিয়ে বাবার বাড়িতে ওঠেন কনে মেহেনাজ জামান সিঁথি।

মা ইসমাত জাহান বলেন, ‌‘আমার জীবনে একটা স্বপ্ন ছিল হেলিকপ্টার থেকে নেমে এসে পালকিতে শ্বশুরবাড়িতে আসবো। সেই সুযোগ আমার ভাগ্যে হয়নি। কিন্তু আল্লাহ যেন আমার বড় মেয়ের মাধ্যমে সেই স্বপ্ন পূরণ করলেন। আজ মেয়ে ও জামাইকে হেলিকপ্টারে করে বাড়িতে আনতে পেরেছি। পালকিতে করে ঘরে তুলেছি। এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।’

হেলিকপ্টারে বরকে নিয়ে বাবার বাড়িতে কনে

বাবা নাহিদুর জামান রাজু বলেন, ‘আমার দুই মেয়ে এক ছেলে। ছেলে ব্যাংকে চাকরি করে। মেয়ে-জামাইকে স্বাগত জানাতে পুরো গ্রামে এক উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আজ যেভাবে মানুষ এসেছে, হাসিমুখে অংশ নিয়েছে, একজন বাবা হিসেবে আমি সত্যিই গর্বিত ও আনন্দিত।’

স্থানীয় বাসিন্দা সোহেল রানা বলেন, ‘আমরা টিভিতে বা ইউটিউবে বড় শহরের বিয়েতে হেলিকপ্টার দেখি। কিন্তু নিজের গ্রামে, নিজেদের মাঠে হেলিকপ্টার নামতে দেখা এটা আমাদের জন্য গর্বের।’

খানপুর ইউনিয়নের প্রবীণ বাসিন্দা আলী হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমি এই খানপুরে জন্মেছি, বড় হয়েছি। আমাদের এলাকায় বহু বিয়ে দেখেছি। কিন্তু এমন ঐতিহাসিক পালকিতে বরণ আর হেলিকপ্টারে আগমন জীবনে এই প্রথম দেখলাম।’

নাহিদ ফরাজী/এসআর/জেআইএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow