হেসে খেলে প্রোটিয়াদের হারিয়ে সিরিজ জিতে নিল ভারত

তিলক ভর্মা ও হার্দিক পাণ্ডিয়ার বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩০ রানে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৩–১ ব্যবধানে নিজেদের করে নিল ভারত। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে রানবন্যার ম্যাচে দর্শকরা দেখলেন আধুনিক টি-টোয়েন্টির এক পূর্ণাঙ্গ প্রদর্শনী। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভারতের শুরুটা ছিল আগ্রাসী। ওপেনারদের দ্রুত রান তোলার পর মিডল অর্ডারে ঝড় তোলেন তিলক ভর্মা ও হার্দিক পাণ্ডিয়া। দুজনের ১০৫ রানের বিধ্বংসী জুটিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৩১ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় স্বাগতিকরা। ভর্মা ৭৩ রান করেন, আর মাত্র ১৬ বলেই অর্ধশতক পূর্ণ করে ৬৩ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন পাণ্ডিয়া—যা ভারতের হয়ে দ্বিতীয় দ্রুততম ফিফটি। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের মধ্যে করবিন বোশ তিনটি উইকেট নিলেও ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের আগ্রাসন থামাতে পারেননি কেউই। শেষদিকে শিভম দুবের সংক্ষিপ্ত কিন্তু কার্যকর ক্যামিওতে স্কোর আরও ভারী হয়। লক্ষ্য তাড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা শুরুটা করেছিল দুর্দান্তভাবে। কুইন্টন ডি ককের ৩৫ বলে ৬৫ রানের ঝড়ো ইনিংসে পাওয়ারপ্লেতেই ম্যাচে উত্তাপ ছড়ায় তারা। এক সময় স্কোর ছিল ১২০/১, তখনও জয়ের আশা জিইয়ে রেখেছ

হেসে খেলে প্রোটিয়াদের হারিয়ে সিরিজ জিতে নিল ভারত
তিলক ভর্মা ও হার্দিক পাণ্ডিয়ার বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩০ রানে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৩–১ ব্যবধানে নিজেদের করে নিল ভারত। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে রানবন্যার ম্যাচে দর্শকরা দেখলেন আধুনিক টি-টোয়েন্টির এক পূর্ণাঙ্গ প্রদর্শনী। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভারতের শুরুটা ছিল আগ্রাসী। ওপেনারদের দ্রুত রান তোলার পর মিডল অর্ডারে ঝড় তোলেন তিলক ভর্মা ও হার্দিক পাণ্ডিয়া। দুজনের ১০৫ রানের বিধ্বংসী জুটিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৩১ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় স্বাগতিকরা। ভর্মা ৭৩ রান করেন, আর মাত্র ১৬ বলেই অর্ধশতক পূর্ণ করে ৬৩ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন পাণ্ডিয়া—যা ভারতের হয়ে দ্বিতীয় দ্রুততম ফিফটি। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের মধ্যে করবিন বোশ তিনটি উইকেট নিলেও ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের আগ্রাসন থামাতে পারেননি কেউই। শেষদিকে শিভম দুবের সংক্ষিপ্ত কিন্তু কার্যকর ক্যামিওতে স্কোর আরও ভারী হয়। লক্ষ্য তাড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা শুরুটা করেছিল দুর্দান্তভাবে। কুইন্টন ডি ককের ৩৫ বলে ৬৫ রানের ঝড়ো ইনিংসে পাওয়ারপ্লেতেই ম্যাচে উত্তাপ ছড়ায় তারা। এক সময় স্কোর ছিল ১২০/১, তখনও জয়ের আশা জিইয়ে রেখেছিল প্রোটিয়ারা। কিন্তু পানীয় বিরতির পরই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন জাসপ্রীত বুমরাহ। ডি কককে নিজেই ক্যাচ নিয়ে ফিরিয়ে দেওয়ার পর মাত্র দুই ওভারের ব্যবধানে আরও চার উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। হার্দিক পাণ্ডিয়া ও বরুণ চক্রবর্তীর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ব্যাটিং ধস নামে সফরকারীদের শিবিরে। বরুণ চক্রবর্তী চার উইকেট নিলেও শেষ ওভারে কিছু রান হজম করেন। শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস থামে ৮ উইকেটে ২০১ রানে। ফলে ৩০ রানের জয় নিশ্চিত করে ভারত এবং সিরিজ নিজেদের ঝুলিতে তোলে। সংক্ষিপ্ত স্কোর ভারত: ২৩১/৫ (তিলক ভার্মা ৭৩, হার্দিক পাণ্ডিয়া ৬৩) দক্ষিণ আফ্রিকা: ২০১/৮ (কুইন্টন ডি কক ৬৫) ফল: ভারত ৩০ রানে জয়ী, সিরিজ ৩–১

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow